Monday, August 5, 2013

কর্মক্ষেত্রে যৌন হেনস্থায় আর্থিক দণ্ড, হারাতে পারেন চাকরিও

কর্মক্ষেত্রে যৌন হেনস্থায় আর্থিক দণ্ড, হারাতে পারেন চাকরিও

কর্মক্ষেত্রে যৌন হেনস্থায় আর্থিক দণ্ড, হারাতে পারেন চাকরিও
এই সময়: আরও কড়া হল সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট অ্যাট ওয়ার্কপ্লেস (প্রিভেনশন, প্রহিবিশন অ্যান্ড রিড্রেসল) অ্যাক্ট। এই অ্যাক্ট অনুযায়ী এবার থেকে কর্মক্ষেত্রে যৌন হেনস্থা করলে দোষী ব্যক্তিকে এক বছর পর্যন্ত জরিমানা দিতে হবে। এমনকী চাকরিও হারাতে পারেন তিনি। না-হলে রদ হতে পারে পদোন্নতি, স্যালারি ইনক্রিমেন্ট বন্ধ হতে পারে। দোষী চিকিত্‍‌সক অথবা আইনজীবী হলে, তাঁদের রেজিস্ট্রেশন বাতিল হতে পারে।

এই আইন অনুযায়ী, যৌন হেনস্থায় লিপ্ত অভিযুক্তকে মাসিক বেতনের ন্যূনতম ১০ শতাংশ জরিমানা হিসেবে কাটাতে হবে। তা-ও আবার এক বছরের জন্য। দোষী ব্যক্তির পদোন্নতিও রদ হতে পারে। । আবার প্রাপ্য সমস্ত সুযোগ-সুবিধা এবং বিশেষাধিকার থেকেও তাঁকে বঞ্চিত করা হতে পারে। এমনকী তদন্তকারী কমিটি দোষী ব্যক্তিকে চাকরি থেকে বার করে দিতে পারে। অথবা বার করার পরামর্শ দিতে পারে। চলতি মাসের শেষ থেকে এই নিয়ম কার্যকর হবে।

আবার দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তি যদি বহিরাগত হয়, তা হলে যৌন উত্‍‌পীড়নের তদন্তকারী কমিটি তাঁকে কার্যক্ষেত্রে ঢুকতে বাধা দিতে পারে। তাঁর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নিতে পারে।

সংযোজিত এই নিয়মের খসড়া নারী এবং শিশু কল্যাণ মন্ত্রক পাঠিয়েছিল। আইন মন্ত্রক এই প্রভিজনে সিলমোহরও লাগিয়ে দিয়েছে।

পাশাপাশি, কেউ যাতে এই আইনের অপব্যবহার করতে না-পারে, তারও ব্যবস্থা করা হয়েছে। যদি কোনও মহিলা কাউকে মিথ্যা অভিযোগে অভিযুক্ত করে, তা হলে সে-ও দণ্ডের অধিকারী। এ ক্ষেত্রে, ওই মহিলাকে ৫০০ টাকা অথবা মাসিক বেতনের পাঁচ শতাংশ জরিমানা হিসেবে দিতে হবে। এ ক্ষেত্রেও এক বছরের জন্য এই জরিমানা কার্যকর থাকবে।

এপ্রিল মাস থেকে সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট আইন কার্যকর হয়েছে। সংগঠিত এবং অসংগঠিত সমস্ত ক্ষেত্রের পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল এবং বাড়িতে কাজ করতে আসা পরিচারিকাদের এই আইনের আওতায় আনা হয়েছে।

No comments:

Post a Comment

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...

Census 2010

Welcome

Website counter

Followers

Blog Archive

Contributors