Monday, November 24, 2014

সংবিধান দিবস পালন করার জন্যও অনুমতি দিলনা কোলকাতা পুলিশঃকিন্তু রাজনীতির জন্য পুলিশের বাধা নিষেধ নেই,সংবিধান লোকতন্ত্র আইন শাসকের পেশিআস্ফালনেই অভিব্যক্ত,এই আমাদের বাংলা,এই আমাদের দেশ!



সংবিধান দিবস পালন করার জন্যও অনুমতি দিলনা কোলকাতা পুলিশঃকিন্তু রাজনীতির জন্য পুলিশের বাধা নিষেধ নেই,সংবিধান লোকতন্ত্র আইন শাসকের পেশিআস্ফালনেই অভিব্যক্ত,এই আমাদের বাংলা,এই আমাদের দেশ!


সংবিধান দিবস পালন করার জন্যও অনুমতি দিলনা কোলকাতা পুলিশঃ

2014/11/22 প্রেস বিজ্ঞপ্তি Leave a comment

Constitution (Saradindu) 2

বিজ্ঞপ্তিঃ সংবিধান দিবস পালন করার জন্যও অনুমতি দিলনা কোলকাতা পুলিশঃ ভারতীয় সংবিধানের ৬৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে রাজ্যের বিভিন্ন, সংগঠনের সহযোগিতায় আগামী ২৬শে নভেম্বর কোলকাতার ওয়াই রোড থেকে রেডরোডে অবস্থিত ডঃ বি আর আম্বেদকরের মূর্তির পাদদেশ পর্যন্ত যে পদযাত্রার আয়োজন করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ন্যাশনাল সোশ্যাল মুভমেন্ট তার অনুমতিই দিলনা কোলকাতা পুলিশ। কোলকাতা ট্রাফিক পুলিশও দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করল। এই ... Read More »

ওয়েব ডেস্ক: সারদাকাণ্ডে কোণঠাসা তৃণমূল কংগ্রেস। তাই বিজেপি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে সরাসরি 'প্রত্যাঘাতে' তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ কলেজ স্কোয়ার থেকে ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত মিছিল করলেন মুখ্যমন্ত্রী।

সারদাকাণ্ডের পাল্টা কালো টাকা ইস্যুতে ধর্মতলার সভা থেকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর তোপ, কালো টাকা কোথায় গেল, ফেরত নিয়ে আসুন।

পথে নেমেই কেন্দ্রকে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন মুখ্যমন্ত্রী  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ধর্মতলায় সভায় আজ তিনি বলেন, "ধমকে, চমকে লাভ নেই। আমরা সহ্য করি। কিন্তু এটা আমাদের দুর্বলতা নয়। "

মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরেও মিছিলে হেঁটেছেন। তবে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে এই প্রথম রাজপথে নামলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সারদা তদন্তে তাঁর দল যে কেন্দ্রের রাজনৈতিক চক্রান্তের শিকার সাধারণ মানুষকে তা বোঝাতে আজকের এই সভা বলে মনে করছেন রাজনৈতিকমহল।  

সারদার তদন্তে নাম উঠেছে তৃণমূলের একাধিক সাংসদ, মন্ত্রীর। সামনেই পুরভোট, প্রচারে সারদাকে ইস্যু করে তৃণমূলকে বিঁধবে বিজেপি।  বিজেপিকে ঠেকাতে পাল্টা আন্দোলনের পথেই হাঁটার সিদ্ধান্ত নেওয়া ছাড়া  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও বিকল্প পথ নেই। তাই  পুর ভোটের আগে দলের পুরনো ইমেজ ফিরিয়ে আনা এখন বড় চ্যালেঞ্জ তৃণমূল কর্মীদের কাছে।  

আর আজকের এই সভা তৃণমূল কর্মীদের বাড়তি অক্সিজেন দেবে, বলার অপেক্ষা রাখে না।


দীপঙ্কর নন্দী




মাত্র দু'দিনের নোটিসে মিছিলে এত লোক আসবেন, তা তৃণমূলের নেতারা কল্পনা করতে পারেননি৷‌ মিছিলে লোকসমাগম দেখে মমতা নিজেও খুশি৷‌ সোমবার বনগাঁ থেকে ফিরে এসে মমতা মিছিলে যোগ দেন৷‌ চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ে মেডিক্যাল কলেজের গেটের সামনে থেকে মমতা মিছিলে হাঁটা শুরু করেন৷‌ ঠিক বিকেল ৩টে নাগাদ মিছিল শুরু হয়৷‌ মমতার আগে ও পেছনে অসংখ্য মানুষ৷‌ প্রত্যেকের হাতে প্ল্যাকার্ড, কেউ নিয়ে এসেছেন ব্যানার, কারও হাতে দলের পতাকা৷‌ প্রথমে ঠিক ছিল কলেজ স্কোয়্যার থেকে মিছিল এস এন ব্যানার্জি রোড হয়ে যাবে ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিং পর্যম্ত৷‌ এদিনই হকার সংগ্রাম কমিটির মিছিল থাকায় তৃণমূলের মিছিলের রুট ঘুরিয়ে দেওয়া হয়৷‌ কলেজ স্কোয়্যার থেকে চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ হয়ে মিছিল যায় ডোরিনা ক্রসিং পর্যম্ত৷‌ এখানে মঞ্চ বাঁধা হয়েছিল৷‌ মমতা প্রায় আধঘণ্টা বক্তব্য পেশ করেন৷‌ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে এই মিছিলের ডাক দিয়েছিলেন মমতা নিজে৷‌ বলেছিলেন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্ল্যাকার্ডে স্লোগান লিখে আনতে৷‌ প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল: 'আমরা সবাই চোর, আমাদের গ্রেপ্তার করো' ইত্যাদি৷‌ মমতার সঙ্গে মিছিলে হাঁটেন অভিনেতা-সাংসদ দেব৷‌ এ ছাড়া রাজ্যের নেতা-কর্মীরা মিছিল থেকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে স্লোগান তোলেন৷‌ বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে মমতা নরেন্দ্র মোদি ও তাঁর দল বি জে পি-কে ব্যাপক আক্রমণ করেন৷‌ তিনি জানিয়ে দেন, একটি বিধানসভায় বি জে পি জিতে 'চুঁইচুঁই' করছে৷‌ আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ২৯৪ আসনের মধ্যে শূন্য পাবে বি জে পি৷‌ মোদিকে আক্রমণ করে মমতা বলেন, কত বড় সাহস, আমাদের উগ্রপম্হী বলা হচ্ছে৷‌ পাপিষ্ঠ, উচ্ছিষ্ঠ এই বি জে পি কোনও সৌজন্য জানে না৷‌ আমি কারও কাছে রাজনীতি শিখব না৷‌ আমার সৌজন্যবোধটুকু আছে বলেই বাজপেয়ীজি ও জ্যোতিবাবুর কাছে গিয়েছিলাম৷‌ মোদিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে সেলফি করছেন৷‌ আমাদের সেলফি করার দরকার নেই৷‌ আমরা কাউকে পরোয়া করি না৷‌ আমরা রাস্তায় থাকি৷‌ আজ রাস্তায় রয়েছি৷‌ আসুন, আমাদের গ্রেপ্তার করুন৷‌ কত বড় জেল আছে, একবার দেখতে চাই৷‌ মমতা এদিন পরিষ্কার জানিয়ে দেন, কংগ্রেস, সি পি এম, বি জে পি একসঙ্গে কাজ করছে, ষড়যন্ত্র করছে, অপপ্রচার করছে৷‌ তাই আগামী নির্বাচনে কোনও জোট হবে না৷‌ তৃণমূল কংগ্রেস মানুষকে সঙ্গে নিয়ে একাই লড়বে বলে মমতা জানিয়ে দেন৷‌ কালো টাকা ফেরত না আনা হলে মমতা দিল্লিতে গিয়েও মিছিল করতে পারেন বলে হুমকি দেন৷‌ তিনি বলেন, বি জে পি কি দেখতে চায়, দিল্লিতে আমি কত লোক নিয়ে যেতে পারি? দাঙ্গাবাজ বলে বি জে পি-কে আক্রমণ করে মমতা বলেন, হিন্দুরা দাঙ্গা করে না৷‌ তারা যায় রামকৃষ্ণ সেবাশ্রম, দ্বারকা, পুরী, ভারত সেবাশ্রমে৷‌ আমি এদের মানি৷‌ বি জে পি-কে ক্রীতদাস বলে মম্তব্য করেন৷‌ তাঁর অভিযোগ, বাংলায় অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিচ্ছে বি জে পি৷‌ এন জি ও-গুলি থেকে টাকা নিচ্ছে৷‌ লোকসভা নির্বাচন প্রসঙ্গ এনে মমতা বলেন, বিকল্প ছিল না তাই ওরা ক্ষমতায় এসেছে৷‌ আমি বাংলায় থাকব, দিল্লিতেও যাব৷‌ মমতার মিছিলে এদিন হাঁটেন যোগেন চৌধুরি, ইন্দ্রনীল সেন, অরিন্দম শীল, ব্রাত্য বসুরা৷‌ মঞ্চ থেকে মমতা শিল্পীদের উদ্দেশে বলেন, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে আপনারাও ২৬ নভেম্বর রাস্তায় মিছিল করুন৷‌ মিডিয়ার একাংশকেও মমতা মিছিল করার আবেদন জানান৷‌ ১ ডিসেম্বর শহিদ মিনারে তৃণমূলের সভায় মমতা যে থাকতে পারেন, তারও ইঙ্গিত দেন তিনি৷‌ বি জে পি বাঙালি ও অবাঙালিদের মধ্যে বিভাজন করতে চাইছে বলে মমতা এদিন জানান৷‌ একটি প্রথম শ্রেণীর বিশেষ সংবাদপত্র এবং বি জে পি একসঙ্গে চলছে৷‌ কত টাকা লেনদেন হয়েছে, আমি জানি না৷‌ রাজ্যসভার সাংসদ মিঠুন চক্রবর্তী সম্পর্কে বলেন, মিঠুনদা সবচেয়ে বেশি আয়কর দেন৷‌ তাঁকেও চিঠি দেওয়া হয়েছে৷‌ একজন, দু'জন দলের বাইরে কী করলেন, তার জন্য গোটা দল ও সরকারকে কলুষিত করা হচ্ছে৷‌ কালো টাকা ফেরানো না হলে বি জে পি নেতাদের কালো চরিত্র ফাঁস করে দেব৷‌ সীমাম্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ হচ্ছে কেন? এটা রাজ্য সরকারের দেখার কথা নয়৷‌ এটা কেন্দ্রের দায়িত্বে পড়ে৷‌ সি বি আইকে আক্রমণ করে মমতা বলেন, আগে সি বি আই সরকারিভাবে অনেক কিছু জানিয়ে দিত৷‌ এখন আগেভাগে মিডিয়াকে জানিয়ে দিচ্ছে৷‌ দালালি করে আমাদের চোর বলা হচ্ছে৷‌ প্রমাণ করতে না পারলে বি জে পি নেতাদের নাকে খত দিতে হবে৷‌ দাঙ্গাবাজদের আমি সবসময় নজরে রাখি৷‌ এরা যাতে দাঙ্গা না করতে পারে, তার জন্য সারা রাত জেগে পাহারা দিই৷‌ একটি বিশেষ সংবাদপত্রকে আক্রমণ করে মমতা বলেন, এরা চায়, নিজেরা একা থাকুক৷‌ তা হবে না৷‌ আজ এই জনস্রোত কাকে দিয়ে আটকাবেন? শিল্পপতি হর্ষ নেওটিয়া সম্পর্কে মমতা বলেন, তিনি যদি ছবি কেনেন, তা হলে সেটা অন্যায়? যাঁর কাছ থেকে ছবি কিনেছেন, তাঁর দিকে আঙুল তুলতে হবে? কেন? আমি যে চাদরটা পরেছি, সেটাও তো কেউ একজন বানিয়েছেন৷‌ তা হলে তাঁকে গ্রেপ্তার করতে হবে? ছবি তো কেউ না কেউ কিনবেন৷‌ এদিকে এদিন ইনডোরে চিটফান্ড প্রসঙ্গে সাধন পান্ডে বলেন, আগের কেন্দ্রের সরকারকে চিটফান্ড নিয়ে জানানো হয়েছিল৷‌ রাজ্য নানাভাবে চেষ্টা করেছিল চিটফান্ড রুখতে৷‌ কেন্দ্র কিন্তু তাদের দায়িত্ব পালন করেনি৷‌ এদিকে মিছিল শেষ করে মমতা বিকেলেই চলে যান নবান্নতে৷‌ সেখানে গুরুত্বপূর্ণ কাজ সারেন৷‌ আজ, মঙ্গলবার মমতা হেলিকপ্টারে দীঘায় সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছেন৷‌ আজ হলদিয়াতেও মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠান রয়েছে৷‌

আজকালের প্রতিবেদন: চিটফান্ডে 'অশনি সংকেত' দেখে মিথ্যাচার আরও বেড়ে গেছে৷‌ তৃণমূল নেত্রী, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে এভাবেই কটাক্ষ করলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু৷‌ বলেন, সি বি আই ইতিমধ্যেই অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করেছে৷‌ বামফ্রন্ট চায়, এবার দ্রুত তদম্ত শেষ করে অপরাধ জনসমক্ষে প্রকাশ করুক৷‌ আমানতকারীদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্হা করুক৷‌ দোষীদের শাস্তির ব্যবস্হা করুক৷‌ তিনি বলেন, রাজ্য বামফ্রন্টের বৈঠকে এ নিয়ে বিভিন্ন শরিক দল বিস্তারিত আলোচনা করেছে৷‌ তারই ভিত্তিতে এই দাবি জানাচ্ছে বামফ্রন্ট৷‌ এদিন বামফ্রন্টের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে বিমান বসু বলেন, আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তো প্রথম থেকেই সি বি আই তদম্তের বিরোধিতা করেছেন৷‌ যদিও একসময় কথায় কথায় সি বি আই ছাড়া কিছু চাইতেন না৷‌ চিটফান্ড-মামলা যাতে সি বি আইয়ের হাতে না যায়, সে জন্য রাজকোষের ১১ কোটি টাকা ব্যয় করেছেন, যা জনসাধারণের টাকা৷‌ সুপ্রিম কোর্টে হেরে গেছেন৷‌ সি বি আই তদম্তের নির্দেশ তো বি জে পি সরকার দেয়নি, আগের ইউ পি এ সরকারও দেয়নি৷‌ আদালত দিয়েছে৷‌ এর পর রাজ্যের আইনমন্ত্রী ও বিধায়ক, সাংসদদের নিয়ে সি বি আই দপ্তরের সামনে রাস্তায় ধর্নায় বসে তদম্ত আটকানোর চেষ্টা করেছেন৷‌ তাতেও সফল হননি তিনি৷‌ এখন দুই সাংসদ ধরা পড়েছেন৷‌ এক মন্ত্রী হাসপাতাল বদলাচ্ছেন৷‌ মুখ্যমন্ত্রী অশনি সংকেত দেখছেন৷‌ তাই মিথ্যাচার বেড়ে গেছে৷‌ বিমান বসু বলেন, জওহরলাল নেহরু স্মরণে অনুষ্ঠানের দোহাই দিয়ে এখন কংগ্রেসকে কাছে টানতে চাইছেন৷‌ তিনি যতক্ষণ ওই অনুষ্ঠানে ছিলেন, তার চেয়ে বেশি সময় তো বি জে পি নেতা-মন্ত্রীদের দিয়েছেন৷‌ একদিকে কংগ্রেস, অন্য দিকে বি জে পি-র দরজা খুলে রাখার কৌশল নিয়েছিলেন৷‌ এখন বেগতিক দেখে কংগ্রেসকে ঢাল করতে চাইছেন৷‌ অন্য এক প্রশ্নে বিমান বসু এদিন বলেন, মুখ্যমন্ত্রী ইনডোরের সভায় যে ভাষায় কথা বলেছেন, তা নিয়ে আমাদের কোনও প্রশ্ন নেই৷‌ যিনি যে ভাষায় কথা বলতে অভ্যস্ত, তিনি সে ভাষাই তো বলবেন৷‌ কিন্তু যা বলেছেন, তা এর আগে এ রাজ্যের কোনও মুখ্যমন্ত্রী বলেননি৷‌ এই বক্তব্যকে নিন্দনীয় বললে কম বলা হয়৷‌ এদিন চিটফান্ড প্রশ্নে মদন মিত্রের নাম না করে বিমান বসু বলেন, কথায় কথায় তিনি একটি বেসরকারি হাসপাতালেই চিকিৎসা করান৷‌ নির্দিষ্ট চিকিৎসকরা চিকিৎসা করেন, সবাই জানে৷‌ এবার কী এমন হল যে, বেসরকারি হাসপাতালকে না জানিয়ে প্রায় লুকিয়ে সরকারি হাসপাতালে এসে ভর্তি হয়ে গেলেন? সেখানেও তিনি উৎকন্ঠায় আছেন, ঘুমোতে পারছেন না বলে শুনছি৷‌ তা অন্য অনেক রোগী তো ওখানে আছেন, তাঁদের তো এমন হচ্ছে না! আর এদিকে মুখ্যমন্ত্রী বলে চলেছেন, আমাদের দলের কেউ জড়িত নয়৷‌ শিল্পী শুভাপ্রসন্ন নিয়ে বলছেন, একজন শিল্পী, ওঁকে চিনি মাত্র৷‌ ব্যস‍্! তা হলে নিশুতি রাতে তাঁর বাড়িতে অনেক বিশিষ্টকে নিয়ে বৈঠক কে করেছিলেন? 'সততার প্রতীক' বলে চূড়াম্ত মিথ্যাচারকরে যাবেন! বিমান বসু বলেন, মিথ্যাচারের একটা সীমা রয়েছে৷‌ বলে চলেছেন, চিটফান্ডে ৫ লক্ষ আমানতকারীকে ক্ষতিপূরণ দিয়েছেন৷‌ অথচ ১ লক্ষেরও বেশি চেক বাউন্স করেছে৷‌ যে তাপসী মালিককে সিঁড়ি করে উঠেছেন, সেই তাপসী মালিকের বাবার চেকও বাউন্স করেছে৷‌ এই কি সততার প্রতীকের নমুনা? এদিন বামফ্রন্টের বৈঠকে কলেজে ছাত্র-সঙঘর্ষ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে৷‌ বলা হয়েছে, যেভাবে কলেজে কলেজে ছাত্র-সঙঘর্ষ চলছে, তাতে শিক্ষার পরিবেশ ক্রমশ কলুষিত হচ্ছে৷‌ আগে শুধুমাত্র বামপম্হী ছাত্ররাই আক্রাম্ত হচ্ছিল৷‌ এখনও হচ্ছে৷‌ তবে এখন অন্যান্য বিরোধী ছাত্ররাও আক্রাম্ত৷‌ এমনকি গোষ্ঠীকোন্দলের জন্য তৃণমূলের একাংশ ছাত্রও আক্রাম্ত৷‌ সরকার যদি আইনানুগ না হয়, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার চেষ্টা না করে, তা হলে এই চিত্র বদলাবে না৷‌ আরও খারাপ হবে৷‌ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের মাথায় উপদেষ্টা বসানোরও প্রতিবাদ করেছে বামফ্রন্ট৷‌ বিমান বসু বলেছেন, আইন মেনেই রাজ্যে নির্বাচন কমিশন হয়, যারা স্হানীয় নির্বাচনগুলি পরিচালনা করে৷‌ সংবিধানের নামে শপথ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কীভাবে এই কাজ করছেন? মন্ত্রগুপ্তির শপথ নিয়েছিলেন, তা কি পালিত হচ্ছে? অল্প দিনেই বেআইনি কাজে এই সরকার বেশ হাত পাকিয়েছে৷‌ বামফ্রন্ট এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে৷‌


'ধমকে, চমকে লাভ নেই', বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে সরাসরি প্রত্যাঘাত মমতার



এই মুহূর্তে

 

মমতার 'র' বার্তাই ঢাল করবে জঙ্গিরা, আশঙ্কায় আইনি মহল

খাগড়াগড় বিস্ফোরণের পিছনে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা 'র'-এর হাত আছে বলে শনিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে মন্তব্য করেছিলেন, তাতে তাঁর দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন উঠেই গিয়েছিল। এ বার ওই মন্তব্য আদালতে অভিযুক্তদের জামিন পাওয়ার পথ সুগম করেবে কি না, সে প্রশ্নও তুললেন আইনজ্ঞ ও পুলিশের একাংশ। বস্তুত, যে ভাবে এক জন মুখ্যমন্ত্রী দেশের শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থাকে দেশের মাটিতে বিস্ফোরণের জন্য অভিযুক্ত করেছেন, জাতীয় রাজনীতিতে তা অতি বিরল দৃষ্টান্ত।

নিজস্ব সংবাদদাতা
২৫ নভেম্বর, ২০১৪
e e e

2

পথে নেমেও বিভ্রান্তি, এ বার 'বাইরের লোক'

চাপ যত বাড়ছে, ততই যেন দিশাহীন হয়ে পড়ছেন তৃণমূল নেত্রী। আর তাতে তৃণমূলের ভিতরে-বাইরে বাড়ছে বিভ্রান্তি! সারদা-কাণ্ডে সিবিআই তৎপরতার বিরুদ্ধে পথে নেমে সোমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, "এক জন-দু'জন বাইরের লোক কী করল, তা নিয়ে দল ও সরকারকে কলুষিত করা হচ্ছে! চোর বলা হচ্ছে!" যে মন্তব্য শুনে তৃণমূলের অন্দরে গুঞ্জন, সাংসদ কুণাল ঘোষ, সহ সভাপতি রজত মজুমদার, উত্তরপ্রদেশে দলের পর্যবেক্ষক আসিফ খানের পরে এ বার কি সৃঞ্জয় বসুকেও ঝেড়ে ফেলতে চাইছেন তিনি?

নিজস্ব সংবাদদাতা
২৫ নভেম্বর, ২০১৪
e e e

3

দিনদুপুরে ভরা রাস্তায় 'আমরা সবাই চোর'

হাতে হাতে প্ল্যাকার্ড। অনেকের গলায় ঝুলছে অ্যাপ্রন। দাবি? 'আমরা সবাই চোর। আমাদের গ্রেফতার করুন'! এমন মিছিল বোধহয় প্রথম দেখল কলকাতা! বলিউডি ছবির লব্জে 'হাম সব চোর হ্যায়' অপরিচিত নয়। কিন্তু সেটাই রাজনীতির স্লোগান হয়ে উঠে এসে অপেক্ষমান নিত্যযাত্রী থেকে কর্তব্যরত পুলিশ, সকলের জন্যই কৌতুক এবং বিস্ময়ের উপাদান জুগিয়ে দিল সোমবার।

নিজস্ব সংবাদদাতা
২৫ নভেম্বর, ২০১৪
e e e


শুভাতে অপ্রসন্ন ইডি, হদিশ মিলল বেনামে শিল্পীর বিপুল সম্পত্তির



ব্যুরো: বেনামে শিল্পী শুভাপ্রসন্নর বিপুল সম্পত্তির হদিশ পেল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। মুম্বইয়ে কেনা হয়েছে তিনটি হোটেল। যার পিছনে সারদার অর্থই আছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। অর্থের উত্‍স জানতে কাল ফের তলব করা হয়েছে শুভাপ্রসন্নকে।  

সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনকে নিজের মালিকানাধীন টিভি চ্যানেল বিক্রি করেন শুভাপ্রসন্ন। চালু না হওয়া, পরিকাঠামোহীন ওই চ্যানেলের পিছনে বিশাল অঙ্কের টাকা ঢেলেছিলেন সারদা কর্তা। সেই কেনাবেচার তদন্তে নেমে শিল্পীর আরও বেশ কিছু সন্দেহজনক আর্থিক লেনদেনের হদিশ পেয়েছে ইডি। চ্যানেল কেনাবেচা সম্পর্কে জানতে ইতিমধ্যে শিল্পীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্তকারীরা। কিন্তু বারবারই অভিযোগ উঠেছে, বহু তথ্য গোপন করছেন শুভাপ্রসন্ন। এরই মধ্যে ইডির নজরে আসে তৃণমূল ঘনিষ্ঠ এই চিত্রশিল্পীর দুটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। তার মধ্যে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের এবং অন্যটি রয়েছে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কে। দুটি অ্যাকাউন্ট থেকে বিপুল অঙ্কের আর্থিক লেনদেন হয়েছে।

তদন্তকারীদের দাবি, ওই দুটি অ্যাকাউন্ট থেকে প্রথমে টাকা গেছে শুভাপ্রসন্নর মেয়ের অ্যাকাউন্টে। সেখান থেকে ফের ওই টাকা গেছে মুম্বই ও গোয়ার কয়েকজন ব্যবসায়ীর অ্যাকাউন্টে। এই লেনদেনের সূত্র ধরেই ইডি অফিসাররা জানতে পেরেছেন, ওই টাকায় মুম্বইয়ে কেনা হয়েছে তিন-তিনটি হোটেল।

এ সম্পর্কে জানতে শুভাপ্রসন্নকে ইতিমধ্যে তিন বার তলব করেছে ইডি। কিন্তু শিল্পী কোনওবারই উপস্থিত হননি। নিজের চার্টার্ড অ্যাকাউন্টট্যান্টের মাধ্যমে কয়েকবার নথি পাঠিয়ে দিয়েছেন। তবে তাতে অর্থের উত্‍স সম্পর্কে কিছু উল্লেখ নেই। লেনদেনের খুঁটিনাটি জানতে চাওয়া হলে তারও কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি। এরপরই গত শনিবার শুভাপ্রসন্নর ওই দুটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেয় ইডি।  ফ্রিজ করে দেওয়া হয়েছে তাঁর চব্বিশটি ফিক্সড ডিপোজিটও।

প্রাথমিক তদন্তে ইডির সন্দেহ, চ্যানেল কেনাবেচা ছাড়াও সারদা গোষ্ঠী থেকে বিপুল অর্থ ঢুকেছিল শিল্পীর অ্যাকাউন্টে। এবং সেই অর্থেই বেনামে সম্পত্তি কেনা হয়েছে। গোটা বিষয়টি স্পষ্ট করতে ফের বুধবার তলব করা হয়েছে শুভাপ্রসন্নকে। যদিও তদন্তকারীরা সরাসরি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। এবার তাঁকেই সশরীরে হাজিরা দিতে হবে, একথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে শিল্পীর চার্টার্ড অ্যাকাউন্টটেন্টকে। তদন্তকারীদের ইঙ্গিত, বুধবারও হাজিরা না দিলে শুভাপ্রসন্নর বিরুদ্ধে কড়া আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

শুভাতে অপ্রসন্ন ইডি, হদিশ মিলল বেনামে শিল্পীর বিপুল সম্পত্তির


লক্ষ্য বিজেপিকে আক্রমণ, অস্ত্র কালো টাকা ইস্যু, আজ দিল্লিতে ধরনায় তৃণমূল

লক্ষ্য বিজেপিকে আক্রমণ, অস্ত্র কালো টাকা ইস্যু, আজ দিল্লিতে ধরনায় তৃণমূল

নয়া দিল্লি: সারদা কেলেঙ্কারি নিয়ে যখন গোটা দেশ তোলপাড়, তখন কালো টাকা ইস্যুকে সামনে রেখে পাল্টা লড়াইয়ের কৌশল নিল তৃণমূল কংগ্রেস। আজ সংসদের সামনে ধরনায় বসছে তৃণমূল কংগ্রেস। আক্রমণের লক্ষ্য বিজেপি।

কালো টাকা সহ একগুচ্ছ ইস্যুতে কেন্দ্রে শাসক দলের বিরুদ্ধে সরব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, গত লোকসভা ভোট এবং তারপর বিভিন্ন রাজ্যে বিধানসভা ভোটে যে বিপুল অঙ্কের টাকা বিজেপি খরচ করেছে তার উত্‍স কী? এর জবাব সংসদে দিতে হবে বলে দাবি তুলেছে তৃণমূল। তাদের আরও অভিযোগ, কালো টাকা দেশে ফিরিয়ে আনা ইস্যুতে বিজেপি প্রতিশ্রুতিভঙ্গ করেছে। এই প্রশ্নে সমভাবাপন্ন দলগুলিকে পাশে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভা এবং রাজ্যসভা মিলিয়ে পয়তাল্লিশ জন সাংসদ তৃণমূলের। তাঁদের যাতে হালকাভাবে না নেওয়া হয়, এই সতর্কবার্তাও শোনা গিয়েছে দলনেত্রীর গলায়।   


No comments:

Post a Comment

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...

Census 2010

Welcome

Website counter

Followers

Blog Archive

Contributors