Tuesday, July 30, 2013

নতুন নিম্নচাপে প্রবল বৃষ্টির আশঙ্কা রাজ্যে

নতুন নিম্নচাপে প্রবল বৃষ্টির আশঙ্কা রাজ্যে

নতুন নিম্নচাপে প্রবল বৃষ্টির আশঙ্কা রাজ্যে
এই সময়: এতদিন বৃষ্টি হচ্ছিল না বলে চাষ-চিন্তা চেপে বসছিল রাজ্যের বুকে৷


এ বার অতিবৃষ্টির চোটে বন্যার শঙ্কায় প্রহর গুনছে বাংলা৷ 

রবিবার রাতের প্রবল বৃষ্টিতে মেদিনীপুরের অবস্থা 'ভয়াবহ' বলে জানিয়েছেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি বলেন, 'এখনও পর্যন্ত পরিস্থিতি আয়ত্তের মধ্যে রয়েছে৷ গালুডি জলাধার থেকে এর মধ্যেই ৭৫ হাজার কিউসেক জল ছেড়েছে৷ আরও বৃষ্টি হলে সত্যিই চিন্তার ব্যাপার৷' 

এবং আরও বৃষ্টি যে হবে, তা স্পষ্ট জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর৷ সক্রিয় মৌসুমি অক্ষরেখা তো ছিলই, সোমবার নতুন একটি নিম্নচাপও হাজির হয়েছে রাজ্যের উপকূলে৷ সেটি গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ধরে ক্রমে বিহার-ঝাড়খণ্ডের দিকে এগিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন আবহবিদরা৷ আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের অধিকর্তা গোকুলচন্দ্র দেবনাথের কথায়, 'সোমবার গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপকূল ঘেঁষে উত্তর বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছে৷ আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে৷' মত্‍স্যজীবীদেরও সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে৷ সোমবার সন্ধের পর থেকেই নিম্নচাপের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে কলকাতা-সহ রাজ্যের উপকূলীয় অংশে৷ 

রবিবার গোটা দিন বৃষ্টি দেখেছে বাংলা৷ তবে সর্বাধিক বৃষ্টি হয়েছে রাতে৷ মেদিনীপুর, খড়গপুর, কলাইকুণ্ডায় গড়ে ২৪০ মিলিমিটার করে বৃষ্টি হয়েছে৷ জুলাইয়ে এই প্রথম ভারী বৃষ্টি পেয়েছে কলকাতাও৷ ২৪ ঘণ্টায় আলিপুরে বৃষ্টি হয়েছে ৭৭.২ মিলিমিটার৷ পরিসংখ্যান বলছে, রবিবার ও সোমবার মিলিয়ে স্বাভাবিকের সাড়ে পাঁচ গুণ বৃষ্টি হয়েছে দক্ষিণবঙ্গে৷ যার হাত ধরে একলাফে মরসুমি ঘাটতি নেমে এসেছে ১৩ শতাংশে৷ উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই দক্ষিণবঙ্গে ঘাটতি ছিল ৩৩ শতাংশ৷ জুলাই-শেষে ঘাটতি কমে আসায় খুশির জোয়ার কৃষি দপ্তরে৷ এমনিতে ১৫ অগস্ট পর্যন্ত আমন ধান রোপণ করার সেরা-সময়৷ তার আগেই চাহিদামতো বৃষ্টি হয়ে যাওয়ায় অনেকটাই চিন্তা-মুক্ত দপ্তরের আধিকারিকরা৷ কৃষি সচিব সুব্রত বিশ্বাস বলেন, 'সমস্ত জেলাতেই দ্রুত গতিতে রোপণের কাজ এগোচ্ছে৷ এখনও পর্যন্ত ৫৫ শতাংশ জমিতে রোয়ার কাজ শেষ৷ প্রতি দু'দিন অন্তর ১০ শতাংশ করে কাজ এগোচ্ছে৷ আপাতত যা বৃষ্টি হচ্ছে, তাতে আর চিন্তা নেই৷ আমরা যথেষ্ট এগিয়েই আছি৷' 

কৃষি দপ্তরের চিন্তা কমলেও শঙ্কিত সেচ দপ্তরের কর্তারা৷ ইতিমধ্যেই আড়াই লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেচমন্ত্রী৷ এ বার ঝাড়খণ্ডে অতিবৃষ্টির অর্থই হল জল ছাড়তে শুরু করবে ডিভিসি-ও৷ কেননা, আগের নিম্নচাপটি যথেষ্ট বৃষ্টি দিয়েছে পড়শি রাজ্যে৷ সেচ দপ্তরের জেলার কর্মীদের সতর্ক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজীববাবু৷ ২৪ ঘণ্টা কন্ট্রোল রুমও খুলে রাখা হচ্ছে৷ 

No comments:

Post a Comment

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...

Census 2010

Welcome

Website counter

Followers

Blog Archive

Contributors