Saturday, September 20, 2014

হোক কলরব! রাতের অন্ধকারে যে বাচ্চা মেয়েরা নিগৃহীত হলেন তাঁদের সহপাঠীর নিগৃহীত হওয়ার প্রতিবাদে,রাতের অন্ধকারে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের যে ছাত্রদের লাঠিপেটা করল উর্দি ও উর্দিছাড়া গুন্ডাবাহিনী তাঁরা কোনোমতেই কোলাহলের অংশীদার নয়,তবু তাঁরা কোলাহলকে অস্ত্র বেছে নিয়েছে! অপ্রতিরোধ্য নজরুল থেকে নবারুণকে জ্যান্ত করেছেন কলকাতার পথে ধর্ম জাতি ভাষা ভেদাভেদ ভুলে নিরন্কুশ মগের মুল্লুকের বিরুদ্ধে!জ্যান্ত করে দিয়েছেন গোটা সত্তর দশক! আমরা যারা নীরাকে ভালোবেসেছি,অথচ নীরার হাত ছঁতে পারিনি কোনোদিন,তাঁর হৃদয়ে আলোড়ন তুলতে পারিনি,তাঁরাও রোমান্চিত ফুলের মত নিস্পাপ মেয়েদের প্রতিবাদ কোলাহলে! পলাশ বিশ্বাস

হোক কলরব!

রাতের অন্ধকারে যে বাচ্চা মেয়েরা নিগৃহীত হলেন তাঁদের সহপাঠীর নিগৃহীত হওয়ার প্রতিবাদে,রাতের অন্ধকারে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের যে ছাত্রদের লাঠিপেটা করল উর্দি ও উর্দিছাড়া গুন্ডাবাহিনী তাঁরা কোনোমতেই কোলাহলের অংশীদার নয়,তবু তাঁরা কোলাহলকে অস্ত্র বেছে নিয়েছে!


অপ্রতিরোধ্য নজরুল থেকে নবারুণকে জ্যান্ত করেছেন কলকাতার পথে ধর্ম জাতি ভাষা ভেদাভেদ ভুলে নিরন্কুশ মগের মুল্লুকের বিরুদ্ধে!জ্যান্ত করে দিয়েছেন গোটা সত্তর দশক!

আমরা যারা নীরাকে ভালোবেসেছি,অথচ নীরার হাত ছঁতে পারিনি কোনোদিন,তাঁর হৃদয়ে আলোড়ন তুলতে পারিনি,তাঁরাও রোমান্চিত ফুলের মত নিস্পাপ মেয়েদের প্রতিবাদ কোলাহলে!



পলাশ বিশ্বাস

বাংলার বিদ্বতজনেরা কলরব পসন্দ করেন না অথচ পাখির কলরবে ভোরের সঙ্গীতে রচিত তাঁদের সৌন্দর্য চেতনা, কল্পনার উড়ান ঔ কলরব থেকেই!


ছাত্রী নিগ্রহ ও ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলনে রাতের অন্ধকারে পুলিশি হামলার প্রতিবাদে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গড়ে ওঠা আন্দোলন ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে সারাদেশে। শনিবার দেশের বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আন্দোলন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।


শনিবার নন্দন থেকে রাজভবন পর্যন্ত মিছিল করেন কলকাতা ও শহরতলির বিভিন্ন কলেজের ছাত্রছাত্রীরা। পড়ুয়াদের মিছিল ঘিরে কড়া নিরাপত্তা বজায় ছিল। হাজার হাজার ছাত্রছাত্রীদের মিছিলে হাঁটেন অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, নাট্যকার এবং পরিচালক সুমন মুখোপাধ্যায়সহ কলকাতার বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও।


কিছুটা এগোনোর পরই কলকাতার মেয়ো রোডের গান্ধীমূর্তির পাদদেশে আটকে দেওয়া হয় সেই মিছিল। রাজভবন চত্বরে ১৪৪ ধারা থাকায় পুলিশ মিছিলটি আটকে দেয়। আন্দোলনস্থলে আসেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী।


সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী বলেন, 'যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কী হয়েছে, ঘটনার জন্য কারা দায়ী সবই আপনারা ভালোই জানেন।' যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা নিয়ে শনিবারে রাজ্যপালের এ মন্তব্যকে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হিসেবেই দেখছে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক মহল।


মানুষের কোলাহল সে তাঁদের বড়ই অপসন্দের কারণ ছোটলোক ব্রাতযজনেরা,যারা অত্যাচারিত,ব্রাত্য,অস্পৃশ্য,বন্চিত তাঁরাই কোলাহলে তাঁদের দাবি পেশ করতে অভ্যস্ত এবং সেই কোলাহলকে পাত্তা না দেওয়াই ক্ষমতার রঘুকুল রীতি!



কল্পনা করুন বাংলা অধীশ্বরী দিদি যদি আজ মুখ্যমন্ত্রী না হয়ে বিপক্ষের নেতাই রয়ে যেতেন,কলকাতার জনসমুদ্রের সম্মুখ ভাগে তাঁর অবস্থান ও উচ্চকিত কন্ঠস্বর নিয়েই তৈরি হত যাবতীয় খবরাখবর!ছবির বন্যা,লাইভ স্ট্রিম!


আবার সেই প্রবাদ বাক্য স্মরণ করতেই হয়,ক্ষমতার অন্ধকারে সব আলো শেষ হয়ে যায়,বাকি থাকে শুধু অন্ধকার!



তাই অন্ধকারের রাজত্বে এই কোলাহল সবচেয়ে বেশি প্রাসঙ্গিক রবীন্দ্র সঙ্গীতের চেয়ে বেশি!



বাঙ্গালি মেয়েরা দুধ ভাত ম্যাগি ফুচকা ছেড়ে পরতিবাদে সংহিনীর মত গর্জন করছেন,এর চেয়ে বড় সারদোত্সব এি বঙ্গ হয়নি কোন দিন,কোনো কালে

কোলাহলের এি উত্সব স্বাগত !



এখন মহিষমর্দিনী অসুরনাশিনীর বিদাযের ,বিসর্জনের পালা,নূতন সুচনা পর্বের আরম্ভ হল আজ,আধিপাত্যের মুখে বজ্র আঘাত হানো!



ধরণা শেষ ত হতই না, পুলিশ ব্যারিকেড ভেঙ্গ লন্কাকান্ড ত হতই,আরও একটা একুশে জুলাইয়ের আশন্কাও ছিল পুরোদস্তুর!


দিদি যথারীতি মা মানুষ সরকারের নবান্নের ঊঁচুতলায় বাসা বেঁধেছেন, এবং ক্ষমতার রীতি ব্যাকরণে এই জনগণের কোলাহল যথারীতি রীতি বিরুদ্ধ!


নজরুল ইসলাম জাতে ছিলেন মুসলমান,ধর্মেও মুসলমান!


নজরুল ইসলামের কৌলিণ্য ছিল না!


তাই তাঁকে আজও বলা হয় কোলাহলের কবি!


সেই নজরুলের কোলাহল কবিত্যই আজ কলকাতার সম্পর্তিক সমাজ বাস্তব,দায়বদ্ধতা,পরিবর্তনের নূতন অঙ্গীকার,ঋজু মেরুদন্ডের অবস্থান, এই অন্যায় মেনে নেব না,এই অন্যায় চলতে দেব না!


তাই বল বীর চির উন্নত মম শির শিখর হিমাদ্রির!


রাতের অন্ধকারে যে বাচ্চা মেয়েরা নিগৃহীত হলেন তাঁদের সহপাঠীর নিগৃহীত হওয়ার প্রতিবাদে,রাতের অন্ধকারে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের যে ছাত্রদের লাঠিপেটা করল উর্দি ও উর্দিছাড়া গুন্ডাবাহিনী তাঁরা কোনোমতেই কোলাহলের অংশীদার নয়,তবু তাঁরা কোলাহলকে অস্ত্র বেছে নিয়েছে!


অপ্রতিরোধ্য নজরুল থেকে নবারুণকে জ্যান্ত করেছেন কলকাতার পথে ধর্ম জাতি ভাষা ভেদাভেদ ভুলে নিরন্কুশ মগের মুল্লুকের বিরুদ্ধে!


জ্যান্ত করে দিয়েছেন গোটা সত্তর দশক!

তার আগে অবশ্য পুলিশ কমিশনার দাবি করলেন,যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশ লাঠি চালায়নি । ক্ষুব্ধ ছাত্র-ছাত্রীরা পুলিশ কমিশনার মিথ্যে বলছেন বলে উল্টো অভিযোগ আনলেন । যাদবপুর-কাণ্ডে ছাত্রছাত্রীদের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করল কলকাতা পুলিস। ফেসবুকে কলকাতা পুলিসের তরফে বলা হয়েছে, উপাচার্য ও অধ্যাপিকাদের উদ্ধারে পুলিসকর্মীরা গেলে ছাত্রছাত্রীরা তাঁদের ঢুকতে বাধা দেন। পুলিস ন্যূনতম শক্তি প্রয়োগ করলে ছাত্রছাত্রীরা আক্রমণ করেন। হাতাহাতিতে দু-পক্ষের কয়েকজন আহত হন বলে ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছে কলকাতা পুলিস।


যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনার জের অব্যাহত। নতুন বিতর্ক ছড়িয়েছে ছাত্রছাত্রীদের লেখা পোস্টার খুলে ফেলা নিয়ে। আজ সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌছনর পর দেখা যায় বিভিন্ন দেওয়াল থেকে পোস্টারগুলি খুলে-ছিঁড়ে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। ক্যামেরার সামনে পড়তেই অবশ্য বন্ধ হয়ে যায় এ কাজ। কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই সেগুলি খুলে ফেলা হচ্ছিল বলে অভিযোগ।


প্রতিকুল জলহাওয়ার মধ্যে তাঁরা যথার্থই বৃষ্টিতে ভিজেছেন এবং সেই বৃষ্টিতে মিশে আছে ঔ মাটিরই গন্ধ,যা বাংলায় নুতন কবিতাকে জন্ম দিয়েছিল এবং এবার হয়ত রচনা করবে নূতন ইতিহাস,যে ইতিহাসের পদধ্বনি শুনতে কান পেতে থাকবে সীমান্তে এপার ওপারের সমগ্র বাঙগালি জাতি

রাজনীতিকে পিছনে ফেলে ন্যায়ের দাবিতে এই কোলাহল স্বাগত!


আমরা যারা নীরাকে ভালোবেসেছি,অথচ নীরার হাত ছঁতে পারিনি কোনোদিন,তাঁর হৃদয়ে আলোড়ন তুলতে পারিনি,তাঁরাও রোমান্চিত ফুলের মত নিস্পাপ মেয়েদের প্রতিবাদ কোলাহলে!

মধ্যরাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশি হামলার প্রতিবাদে কলকাতার নন্দন-রবীন্দ্র সদন থেকে আয়োজিত মহামিছিল জন সমুদ্রে রূপ নিলো। 'হাল্লাবোল' এবং 'হোক কলরব'  স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠেছে  কলকাতা।


কলকাতায় এমন ছাত্র আন্দোলন ইতিহাসের নিরিখে এক বিরল দৃষ্টান্ত। এই মিছিলে লক্ষাধিক মানুষের জমায়েত হয়েছিল।


যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়সহ কলকাতার বিভিন্ন কলেজ এবং রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার ছাত্র যোগ দিয়েছিলেন মিছিলে।


রাজধানী নয়াদিল্লিতে জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়েও এই ঘটনায় প্রতিবাদ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।


প্রবীণরা বলেছন, বিগত তিন দশকে ছাত্র আন্দোলনের এই চেহারা দেখেনি কলকাতা। শনিবারের এই আন্দোলনের উদ্দীপনার সঙ্গে অনেকেই তুলনা করছেন বাংলাদেশের শাহবাগ আন্দোলন, অকুপাই ওয়াল স্ট্রিট আন্দোলনের।


অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় বলেন, 'আমি মমতা বন্দোপাধ্যায়ের দল এবং সরকারের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামিনি। ছাত্রীদের ওপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছি।'


এ দিন দুপুরে একই সঙ্গে দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু হয় মিছিল। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও আন্দোলনে শামিল হন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা মেডিকেল কলেজ, আশুতোষ কলেজ, গুরুদাস কলেজ, সুরেন্দ্রনাথ কলেজের পড়ুয়ারা। সমাজের সর্বস্তরের মানুষ এতে যোগ দেন। আর দিল্লিতে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা রাস্তায় নেমেছেন। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু পড়ুয়াও তাদের সঙ্গে যোগ দেন। তারা বঙ্গভবনের সামনে বিক্ষোভ করেছেন।


এদিকে, 'সাইবার সিটি' ব্যাঙ্গালুরুতেও আছড়ে পড়েছে যাদবপুর-কাণ্ডের ঢেউ। শুক্রবার আইআইএসসি (ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স) পড়ুয়ারা এক দফা প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করেন। তাদেরই উদ্যোগে রবিবার সকাল ১০টায় টাউন হলের সামনে থেকে শুরু হবে মিছিল। মিছিলটি বড় হবে বলেই উদ্যোক্তাদের আশাবাদ।


পাশাপাশি আইআইটি মাদ্রাজে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরাও রয়েছেন, তারাও সংশ্লিষ্ট ঘটনার নিন্দা জানান। ইতোমধ্যে আইআইটি খড়গপুর, মুম্বাইয়ের টাটা ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল সায়েন্সেস, আইআইটি রুরকি প্রভৃতি জায়গায় পড়ুয়ারাও প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করেছেন। ফলে আক্ষরিক অর্থেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলন সর্বভারতীয় রূপ পেয়েছে।


শুধু ছাত্র নয়, মিছিলে ছিলেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষসহ সাধারণ মানুষও। ছিলেন চলচ্চিত্র তারকারাও। এরমধ্যে অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, চিত্র পরিচালক  ও নাট্যকার সুমন মুখোপাধ্যায়, অভিনেতা জয়জিৎ, শহর ব্যান্ডের গায়ক অনিন্দ্য বোস প্রমুখ ছিলেন।


শনিবার প্রবল বৃষ্টি উপেক্ষা করে নিজ উদ্যোগেই পথে নেমেছিলেন হাজারো মানুষ। মিছিলটি কলকাতার রাজভবনের দিকে এগোতে শুরু করলে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তির সামনে পুলিশ মিছিলটি আটকে দেয়।


পরে আট সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল রাজভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য এবং পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে যান।


পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য কেশরী নাথ ত্রিপাঠীর সঙ্গে বৈঠকের পর ছাত্ররা জানান, রাজ্যপাল কিছুটা সময় চেয়েছেন। তারা আশাবাদী রাজ্যপাল এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন।


তবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি থেকে সরছেন না বলে জানিয়েছেন ছাত্ররা।


শিক্ষার্থীরা জানান, আগামী সোমবার ফের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।


ইতিমধ্যে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান বিক্ষোভ বন্ধ করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে রাজ্য সরকারকে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা উচ্চ আদালত।


উচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুর সম্প্রতি বলেন, শিক্ষার্থীদের স্বার্থে শিক্ষাঙ্গণে স্বাভাবিক অবস্থা ফেরানো রাজ্যের প্রশাসনিক কাজ।‌ তার জন্য যা করার দরকার তা রাজ্য করবে। কিন্তু আইনবর্হিভূত কিছু যেন না করে।


বিচারপতি আগামী বুধবারের মধ্যে রাজ্য সরকারকে হলফ নামা দিতে বলেছেন। এছাড়রাজ্য সরকার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে এই পর্যন্ত তারা কি ব্যবস্থা নিয়েছে তাও জানতে চেয়েছে।


প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর শ্লীলতা হানির ঘটনার তদন্ত পক্রিয়া যথাযত হচ্ছে না। আর এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করে ছাত্র-ছাত্রীরা। বিক্ষোভে ছাত্র-ছাত্রীদের উপর হামলা করে পুলিশ। হামলার প্রতিবাদে কলকাতার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক,বুদ্ধিজীবীসহ সাধারণ মানুষও উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করেছে।


মহামিছিলে গর্জে উঠল শহর কলকাতা, উপাচার্যের পদত্যাগ না করা পর্যন্ত চলবে 'হোক কলোরব'

Last Updated: Saturday, September 20, 2014 - 21:15

কলকাতা: রাজ্যপালের অনুরোধে সোমবার দুপুর পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত রাখলেন যাদবপুরের ছাত্রছাত্রীরা। তবে, উপাচার্যকে সরানো না হলে আন্দোলন যে আরও বৃহত্তর আকার নেবে তাও রাজ্যপালকে জানিয়ে এলেন আট সদস্যের প্রতিনিধিদল। ছাত্রদের দাবি, রাজ্যপাল কথা দিয়েছেন তাঁদের সমস্ত বক্তব্য বিবেচনা করবেন। তবে, আন্দোলন স্থগিত থাকলেও ক্লাস, বয়কটের সিদ্ধান্তে কিন্তু এখনও অনড় ছাত্রছাত্রীরা।নন্দন থেকে রাজভবন। ঝমঝম বৃষ্টি যেন জনসুনামি হয়ে আছড়ে পড়ল রাজপথে। স্লোগান আর  গানে এ যেন এক অন্য মহানগর। বৃষ্টির সঙ্গে তাল মিলিয়ে বেড়েছে মিছিল। চেনা-অচেনার গণ্ডি ছেড়ে রাজপথের ঠিকানা যেন তখন কেয়ার অফ মেয়ো রোড।


লক্ষ্য ছিল রাজভবন। কিন্তু, মিছিল আটকে দেওয়া হল মেয়ো রোডে। পুলিসের ব্যারিকেডের সামনেই রাস্তায় বসে পড়লেন ছাত্রছাত্রীরা। আরও তীব্র হল পুলিস-বিরোধী স্লোগান। যাদবপুরের ছাত্রের তোলা স্লোগানে গলা মেলাল মনীন্দ্র কলেজ থেকে আসা সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা।

সওয়া চারটেয় পুলিস ভ্যানে চেপে রাজভবনের উদ্দেশে রওনা হলেন সাত ছাত্র এবং এক প্রাক্তনী। গোল্ড মেডেলিস্ট এই ছাত্র তাঁর সোনার মেডেল ফিরিয়ে দিতে গিয়েছিলেন রাজ্যপালকে। বিকেল পাঁচটায় বৈঠক শুরু। বৈঠক শেষ ছটা কুড়ি। ফের পুলিসের গাড়িতে করে ছাত্রপ্রতিনিধিরা ছুটলেন মেয়ো রোডে।

সহআন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে এদিনের অবস্থান তোলার কথা ঘোষণা করলেন ছাত্রনেতারা।

রাজ্যপালের ওপর ভরসা রেখেও ফের সোমবারের প্রস্তুতি শুরু করে দিলেন ছাত্রছাত্রীরা।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীদের 'শ্লীলতাহানি' করল পুলিশ

২০১৪ সেপ্টেম্বর ১৭ ২০:২৮:২৯

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীদের 'শ্লীলতাহানি' করল পুলিশ

কলকাতা প্রতিনিধি : গভীর রাতে আলো নিভিয়ে পশ্চিমবঙ্গের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের পিটিয়েছে পুলিশ। সঙ্গে শাসক তৃণমূল কংগ্রেসের লোকজনও হামলা করেছে। অভিযোগ উঠেছে- নির্বিচারে লাঠি চালিয়ে, ঘুষি মেরে, ছাত্রীদের শ্লীলতাহানি করে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এর জের ধরে বুধবার সারাদিন উত্তাল ছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়।

জানা গেছে, কিছুদিন আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে কয়েকজন ছাত্র তাদেরই এক সহপাঠিনীর শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ ওঠে। অস্থায়ী উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তী এ বিষয়ে তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করেন। কিন্তু ছাত্রছাত্রীরা অভিযোগ করেন, ওই কমিটি পক্ষপাতদুষ্ট। তারা একপেশে তদন্ত করে দোষীদের আড়াল করতে চাইছে। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যালয় অরবিন্দ ভবনের সামনে শুরু হয় অবস্থান বিক্ষোভ। গত কয়েক দিন ধরে চলছিল এই লাগাতার অবস্থান। এর জের ধরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল ক্যাম্পাস।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার মঙ্গলবার বিকেলে এসে হুমকি দেন, অবিলম্বে বিক্ষোভ প্রত্যাহার না করলে 'দেখে নেওয়া' হবে। কিন্তু ছাত্রছাত্রীরা তাদের আন্দোলন চালিয়ে যান। এর পরই মঙ্গলবার রাত ২টা নাগাদ অরবিন্দ ভবনে আসে পুলিশ। সঙ্গে সাদা পোশাকের কিছু লোক। এরা যাদবপুর-বাঘা যতীন অঞ্চলের তৃণমূলের 'গুণ্ডা' বলেই দাবি করেছেন ছাত্রছাত্রীরা। তারা জিন্সের প্যান্টের উপরে গেঞ্জি পরেছিল। পায়ে ছিল হাওয়াই চটি। হাতে মোটা লোহার বালা। প্রথমে শুরু হয় গালিগালাজ। এর পর সব আলো নিভিয়ে দেওয়া হয়। অন্ধকারে কয়েকজন ছাত্রীকে টেনে নিয়ে যাওয়া হয় থামের আড়ালে। সেখানে যথেচ্ছভাবে তাদের শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। ছাত্রীদের চিৎকার শুনে ছাত্ররা যখন এগিয়ে যান, তখন শুরু হয় পুলিশের মারপিট। একেকজন ছাত্রকে চার-পাঁচজন পুলিশ ঘিরে ধরে। পেটে, মুখে লাথি মারা হয়। লাঠির ঘা পড়ে পিঠে, মাথায়। এ হামলায় জখম হয়েছেন বহু ছাত্রছাত্রী। এদের মধ্যে দু'জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ছাত্র অভিযোগ করেন, ছাত্রীদেরও নির্বিচারে পিটিয়েছে পুলিশ। সঙ্গে কোনো নারী পুলিশকর্মী না থাকলেও ছাত্রীদের টেনে-হিঁচড়ে ভ্যানে তোলে পুরুষ পুলিশকর্মীরাই, যা জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নির্দেশিকার বিরুদ্ধ। ওই রাতেই ৩৭ জনকে গ্রেফতার করে থানার লকআপে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়।

রাতে এই হামলার খবর পেয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিকরা ছুটে যান যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। শাসক দলের 'গুণ্ডারা' সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশের সামনেই সাংবাদিকদের নিগ্রহ করা হয়।

এ ঘটনার জের ধরে ছাত্ররা বুধবার সকাল থেকেই ফের বিক্ষোভ শুরু করেন। তারা উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর করেছেন। উপাচার্য, সহ-উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারের পদত্যাগ দাবি করা হয়েছে। ছাত্রদের পাশাপাশি উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করেছে জুটা (যাদবপুর ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন)। এদিন সকালে যাদবপুর থানার সামনে রাজা সুবোধ মল্লিক রোডে অবরোধে বসেন বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা। পুলিশের বড়কর্তারা এসে ঘটনার তদন্তের আশ্বাস দিলে অবরোধ উঠে যায়। তবে উপাচার্য না সরা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস বয়কট চলবে বলে জানিয়েছেন ছাত্রছাত্রীরা। পুলিশি নিগ্রহের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার রাজ্যজুড়ে ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বামপন্থী ছাত্রসংগঠন এসএফআই।

অভিযোগ উঠেছে, উপাচার্যই পুলিশ ডেকেছেন ক্যাম্পাসে। এর নিন্দায় সরব হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা মহল। বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস সবাই এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে।

রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলের নেতা তথা সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, 'শুনলাম, মেয়েদের জামাকাপড় ছিঁড়ে দিয়েছে পুলিশ। তা যে পুলিশকর্মীরা এ সব করল, তাদেরও তো ঘরে মেয়ে আছে, বোন আছে। এই লজ্জা ওরা কোথায় রাখবে। এখন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের যিনি উপাচার্য আছেন, তিনি ওই পদে বসার অযোগ্য। উপাচার্য নন, উনি তৃণমূলের মুখপাত্র হিসাবে কাজ করছেন।'

আইনজীবী অরুণাভ ঘোষ বলেন, 'এখনকার উপাচার্য শেষ কবে ক্লাস নিয়েছেন, জানি না। রাতের অন্ধকারে পুলিশ ঢুকে মেয়েদের সঙ্গে অসভ্যতা করছে, এটা কোনো ভদ্র সমাজে অভাবনীয় ঘটনা।'

কবি শঙ্খ ঘোষ পুলিশের হামলা নিয়ে বলেছেন, 'লজ্জায় আর ঘৃণায় আমার মন ভারাক্রান্ত হয়ে গিয়েছে। এ-ও কি সম্ভব?'

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী তথা সমাজকর্মী শাশ্বতী ঘোষ বলেন, 'নন্দীগ্রামে পুলিশের সঙ্গে ছিল গুণ্ডারা। এখানেও তাই। শাসক বদলালেও বদলায়নি দণ্ডদানের পদ্ধতি।'

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের পাশে দাঁড়াল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সংগঠন (যাদবপুর ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন) জুটা। বুধবার দুপুরে পুলিশের হাতে প্রহৃত ছাত্রছাত্রীদের হাসপাতালে দেখতে যান জুটার সদস্যরা। তাদের অভিযোগ, যেভাবে রাতের অন্ধকারে পুলিশ ক্যাম্পাসে ঢুকে লাঠিচার্জ করেছে, তার তীব্র বিরোধিতা হওয়া উচিত। এমনকি, ইতোমধ্যে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিও তুলেছেন তারা।

পরিস্হিতি বুঝে আটকদের লালবাজারের লকআপ থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কলকাতা পুলিশের যুগ্ম-নগরপাল (সদর) রাজীব মিশ্র পুলিশের বিরুদ্ধে ছাত্রছাত্রীদের তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন৷ তিনি দ্য রিপোর্টকে বলেন, ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ ভিত্তিহীন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় স্পেশাল ব্রাঞ্চের কর্মীরা পুলিশের সঙ্গে সিভিল ড্রেসে থাকেন৷ এটা নতুন কিছু নয়৷ গোটা ঘটনা নিয়ে তদন্ত চলছে।

(দ্য রিপোর্ট/এসএম/এইচএসএম/এজেড/সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৪)

- See more at: http://www.thereport24.com/article/58552/index.html#sthash.kQOGeEXS.dpuf

যাদবপুর কাণ্ড নিয়ে প্রতিবাদে উত্তাল কলকাতা

কলকাতার রাজপথে প্রতিবাদী যৌবনের ঢল৷ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশি তাণ্ডবের প্রতিবাদে এবং ঘটনার দায়ে অভিযুক্ত উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাল ছাত্র-ছাত্রীরা৷

শেষ কবে এমন বিশাল ছাত্র-মিছিল দেখেছে কলকাতা, অনেকেই মনে করতে পারছেন না৷ সঠিকভাবে বলতে গেলে, এমন অরাজনৈতিক বিক্ষোভ মিছিলের নজির প্রতিবাদী এই শহরেও খুব বেশি নেই৷ ঘটনা যদিও যাদবপুরের কিন্তু অন্যান্য কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সহমর্মী ছাত্র-ছাত্রীরা দলে দলে এই বিক্ষোভে শামিল হয়েছিলেন৷ অসমর্থিত সূত্রে তাঁদের সংখ্যাটা প্রায় ৩৬ হাজার৷ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন এখানকার প্রাক্তনীরাও৷ রয়েছেন প্রেসিডেন্সি কলেজের মতো বিখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়ারা৷ অন্যদিকে নয়াদিল্লি-তে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় এবং আরও কিছু নামী কলেজের ছাত্রছাত্রীরা ভৌগোলিক দূরত্বকে কার্যত অস্বীকার করে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন দিল্লির রাজপথে৷

গত কয়েকদিন ধরেই ফেসবুক, টুইটার ইত্যাদি সামাজিক আলাপচারিতার ক্ষেত্রগুলো মুখর হয়ে উঠেছিল শনিবার দুপুরের এই বিক্ষোভ মিছিলে যোগ দেওয়ার আহ্বানে৷ নানা পোস্টার, ছবি, কার্টুন, ছড়া আর কবিতা দিয়ে শানিয়ে তোলা হচ্ছিল প্রতিবাদকে৷

  • Farida aus Bangladesch (Foto: Ann-Christine Woehrl/Echo Photo Agency)

  • অ্যাসিড সন্ত্রাস!

  • বাংলাদেশের ফরিদা

  • ফরিদার স্বামী ছিলেন ড্রাগ এবং জুয়ায় আসক্ত৷ ঋণের দায়ে একসময় বাড়িটাও বিক্রি করে দেয় নেশাগ্রস্ত লোকটি৷ রেগেমেগে ফরিদা বলেছিলেন, এমন স্বামীর সঙ্গে আর ঘর করবেন না৷ সেই রাতেই হলো সর্বনাশ৷ ঘুমন্ত ফরিদার ওপর অ্যাসিড ঢেলে দরজা বন্ধ করে দিল পাষণ্ড স্বামী৷ যন্ত্রণায় চিৎকার করছিলেন ফরিদা৷ প্রতিবেশীরা এসে দরজা ভেঙে উদ্ধার করে তাঁকে৷

123456789

সবকটি পোস্টেই ছিল যাদবপুরের আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের হ্যাশট্যাগ– হোক কলরব! শনিবার সকাল থেকে প্রায় একটানা বৃষ্টি সত্ত্বেও দুপুর দুটো নাগাদ ভরে উঠতে থাকে রবীন্দ্রসদন-নন্দন চত্বর৷ রাস্তা জুড়ে ছাত্রছাত্রীদের ঢল এবং তাদের সমবেত কলরব আদতেই মনে করিয়ে দিচ্ছিল, এটা আর পাঁচটা বাঁধা গতের বিক্ষোভ নয়, বরং এক অন্য ধারার প্রতিবাদ জন্ম নিচ্ছে এই শহরে৷ যেখানে স্লোগান বাঁধা হচ্ছে – লাঠির বদলে গানের সুর, দেখিয়ে দিচ্ছে যাদবপুর৷

রবীন্দ্রসদন থেকে বিক্ষোভ মিছিলের গন্তব্য ছিল রাজভবন৷ উদ্দেশ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সহ উপাচার্য এবং রেজিস্ট্রারের ইস্তফার দাবি জানানো রাজ্যপালের কাছে৷ বিধি মোতাবেক, রাজ্যের যিনি রাজ্যপাল, তিনিই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য৷ যে কারণে রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠি ঘটনার পর পরই রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং বিতর্কিত উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তী-কে ডেকে পাঠিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট নিয়েছিলেন৷ কিন্তু ছাত্রছাত্রীদের কোনও বক্তব্য যেহেতু জানার চেষ্টা হয়নি রাজ্যপাল বা সার্বিকভাবে প্রশাসনের তরফ থেকে, তাই বিক্ষোভের আওয়াজ রাজভবন পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷

প্রত্যাশিতভাবেই সেই বিক্ষোভ মিছিলকে রাজভবন পর্যন্ত যেতে দেওয়া হয়নি৷ বরং মাঝপথেই পুলিশের এক ত্রি-স্তর ব্যারিকেড সেই মিছিলের রাস্তা আটকে দাঁড়িয়েছিল৷ ঘটনাচক্রে এই জায়গার অদূরেই রয়েছে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তি, যে জননায়ক সারা বিশ্বকে অহিংস আন্দোলনের পথ দেখিয়েছিলেন৷ যাদবপুরের ছাত্র-ছাত্রীরাও আগাগোড়া অহিংস রাস্তাতেই এই আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন৷ বাধা পেয়ে মিছিল সটান বসে পড়ে রাস্তাতেই৷ শুরু হয় সমবেত স্লোগান, গান৷ আটজন ছাত্রছাত্রীর একটি দল পুলিশের পাহারায় দেখা করতে যান রাজ্যপালের সঙ্গে৷

রাজ্যপাল ত্রিপাঠি প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে ছাত্র-প্রতিনিধিদের বক্তব্য শোনেন, উপাচার্যকে অপসারণের দাবির নৈতিকতা স্বীকার করেন, সমর্থন জানান এবং প্রতিশ্রুতি দেন, পুরো বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার৷ তবে এর জন্য রাজ্যপাল সোমবার পর্যন্ত সময় চেয়ে নিয়েছেন ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে৷ রাজ্যপাল ছাত্র-বিক্ষোভ সম্পর্কে কোনও বিরূপ প্রতিক্রিয়া জানাননি, বরং নৈতিক সমর্থন জানিয়েছেন, এই খবরেই উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠেন অবস্থানরত ছাত্র-ছাত্রীরা৷ সিদ্ধান্ত হয়, আন্দোলন চললেও অবস্থান তুলে নেওয়া হবে৷

এদিকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য এখনও একইরকম অনুতাপহীন৷ শনিবার হঠাৎই বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে উপাচার্যের পাতায় দেখা গিয়েছিল, তিনি সকলের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন৷ বলেছেন "আই অ্যাম সরি"৷ কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই ওই ওয়েব পাতাটি ব্লক করে দিয়ে জানানো হয়, কে বা কারা নাকি হ্যাকিং করে ওই কথা লিখে দিয়ে গেছে৷ এর পরই গোটা ঘটনার পিছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র দেখতে শুরু করেন উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তী৷ কিন্তু তিনি দেখতেও পান না, রাজ্যপাল যে সহানুভূতি দেখালেন ক্ষুব্ধ ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি, শুধু সেই বিচক্ষণতা দেখাতে পারলেই আজ এই পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হতো না তাঁকে৷ বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হত না এই অচলাবস্থা৷

http://www.dw.de/

লাভপুর গণধর্ষণে দোষীদের ২০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড

এবিপি আনন্দ ওয়েব ডেস্ক

Saturday, 20 September 2014 01:58 PM

submit to reddit

বীরভূমের লাভপুরে সালিশি সভার নিদানে আদিবাসী তরুণীকে গণধর্ষণের ঘটনায় সাজা শোনাল বোলপুর মহকুমা আদালত। দোষী ১৩ জনকেই ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন বিচারক। গতকালই ১৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। বীরভূমের লাভপুরে ঘটনাটি ঘটে গত ২২ জানুয়ারি। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, জরিমানা দিতে না পারায় মোড়লের নির্দেশে সারা রাত ধরে ১২জন মিলে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে৷ সেই ঘটনায় তদন্তে নেমে পুলিশ গ্রেফতার করে মোড়ল সহ ১৩ জনকে। গতকালই তাদের দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক।


পশ্চিমবঙ্গে যৌন নিগ্রহের ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা

এতদিন পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষাক্ষেত্রে সবথেকে বড় উৎপাত ছিল ছাত্র রাজনীতির বিশৃঙ্খলা আর রাজনৈতিক দলগুলির প্রভাব খাটানোর চেষ্টা৷ কিন্তু দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রশাসকরা বুঝিয়ে দিলেন, তাঁরাও কিছু কম যান না!

প্রতীকী ছবি

একটি ঘটনা সামান্য কিছুদিন আগের, কিন্তু এখনও সেই কলঙ্কের রেশ রয়ে গেছে৷ শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিষ্ঠা করা বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বভারতীতে উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে আসা এক ছাত্রীকে সিনিয়র তিন ছাত্রের যৌন নিগ্রহ, ব্ল্যাকমেল করা, তার থেকে জোর করে টাকা নেওয়ার সেই ঘটনা সারা পশ্চিমবঙ্গে তো বটেই, ভারতে এবং গোটা বিশ্বে বিশ্বভারতীর যত ছাত্র-ছাত্রী ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন, তাঁদের সবাইকে লজ্জিত করেছিল৷ সোশ্যাল মিডিয়া সরব হয়েছিল সমবেত সমালোচনা আর প্রতিবাদে৷

তবে বিশ্বভারতীর কলাভবনের প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রীর শারীরিক ও মানসিক লাঞ্ছনার থেকেও বেশি লজ্জাজনক হয়ে উঠল, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ যেভাবে এই কলঙ্ক চাপা দিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ল! এক্ষেত্রে মূল অভিযুক্ত দুজন৷ কলাভবনের অধ্যক্ষ এবং বিশ্বভারতীর উপাচার্য৷ এঁদের দুজনের অমানবিকতা সম্ভবত শিক্ষাক্ষেত্রে দায়িত্ব এড়ানোর অপচেষ্টার নজির হয়ে থাকবে! তিন সহপাঠীর হাতে মেয়েটির অসম্মানের যেটুকু বাকি ছিল, সেটাও পুরো করে দিলেন ওই দুই প্রশাসনিক কর্তা – মেয়েটিকে পুলিশে অভিযোগ দায়ের না করার পরামর্শ দিয়ে এবং নতুন জামা-কাপড় ইত্যাদি কেনার খরচ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে!

  • Farida aus Bangladesch (Foto: Ann-Christine Woehrl/Echo Photo Agency)

  • অ্যাসিড সন্ত্রাস!

  • বাংলাদেশের ফরিদা

  • ফরিদার স্বামী ছিলেন ড্রাগ এবং জুয়ায় আসক্ত৷ ঋণের দায়ে একসময় বাড়িটাও বিক্রি করে দেয় নেশাগ্রস্ত লোকটি৷ রেগেমেগে ফরিদা বলেছিলেন, এমন স্বামীর সঙ্গে আর ঘর করবেন না৷ সেই রাতেই হলো সর্বনাশ৷ ঘুমন্ত ফরিদার ওপর অ্যাসিড ঢেলে দরজা বন্ধ করে দিল পাষণ্ড স্বামী৷ যন্ত্রণায় চিৎকার করছিলেন ফরিদা৷ প্রতিবেশীরা এসে দরজা ভেঙে উদ্ধার করে তাঁকে৷

123456789

বিশ্বভারতীর মতো ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই কলঙ্কের দাগ ফিকে হওয়ার আগেই ঘটে গেল দ্বিতীয় ঘটনা৷ এবার খাস কলকাতা শহরে, আরেক সম্মানিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে৷ সেখানে বাৎসরিক উৎসব চলছিল৷ তারই মধ্যে একদল ছাত্র একজন ছাত্রীকে জোর করে নিজেদের হোস্টেলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ৷ সেখানে ওই মেয়েটিকে সঙ্ঘবদ্ধভাবে শারীরিক নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ৷

যদিও সেই রাতে আসলে ঠিক কী ঘটেছিল, সেই নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এখনকার ছাত্র-ছাত্রীদের বক্তব্যে ফারাক রয়েছে৷ কিন্তু যেটা নিয়ে কোনও সংশয় নেই, তা হল নিগৃহীত ওই ছাত্রী এবং তার বাবা অভিযোগ জানাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে গেলে, যে চরম অসভ্যতা তাদের সঙ্গে করা হয়েছে, সেই নিয়ে৷

অভিযোগ, মেয়েটি তাঁর বাবাকে নিয়ে উপাচার্যের দপ্তরে গেলে প্রথমে তাদের দীর্ঘক্ষণ বসিয়ে রাখা হয়৷ তারপর বলা হয়, দুদিন পরে আসতে! ঠিক কেন দুদিন, কেন দু সপ্তাহ বা দুমাস কিংবা দুবছর নয়, তা যদিও জানা যায়নি৷ তবে বহু পুরনো একটি আপ্তবাক্য ফের প্রমাণ হতে চলেছে যে, জাস্টিস ডিলেইড ইজ জাস্টিস ডিনায়েড! যদিও মেয়েটির বাবা হাল ছাড়বেন না৷ তিনি বলেছেন, তিনি ন্যায়বিচার চান৷ ঠিক যে কথা বলে যন্ত্রণা এবং চোখের জল চেপে রেখে মেয়েকে নিয়ে শান্তিনিকেতন ছেড়েছিলেন সিকিম থেকে আসা এক অসহায় বাবা, যিনি রবীন্দ্রনাথের আদর্শে আদরের কন্যাকে শিক্ষিত করতে চেয়েছিলেন৷

দুটি ঘটনাতেই শেষ পর্যন্ত পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রবল অনাগ্রহ সত্ত্বেও৷ শান্তিনিকেতনের ঘটনাটি ভারতের প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতির দপ্তর পর্যন্ত পৌঁছেছে এবং কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছে যে তারা গোটা বিষয়টি পর্যবেক্ষণে রেখেছে৷ কর্মক্ষেত্রে যৌন হেনস্থা ঠেকাতে ভারতের সর্বোচ্চ আদালত নির্দেশিত যে বিশাখা নির্দেশমালা আছে, সেই অনুযায়ী অভিযোগের বিচার হচ্ছে এবং সাময়িক স্থবিরতা কাটিয়ে উঠে বিশ্বভারতীর ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক এবং প্রাক্তনীরাও প্রতিবাদে শামিল হচ্ছেন৷

কিন্তু এই সবকিছু ছাপিয়ে উঠে আসছে একটিই প্রশ্ন৷ যে উপাচার্য, যে প্রশাসন নির্বিকার রইল ছাত্রীদের এই নিগ্রহের কথা জেনেও, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এই কলঙ্কের কথা যারা কার্যত ধামাচাপা দিতে চাইল, তার কী শাস্তিবিধান হবে! ঘটনা পরম্পরাতেই স্পষ্ট যে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনই নিজেদের দায়িত্ব, নিজেদের কর্তব্য অস্বীকার করে ব্যক্তিগত স্বার্থ সুরক্ষিত রাখতে অপরাধকে পরোক্ষে প্রশ্রয় দিয়েছে৷ এবং এখানেই উঠে আসছে পরের প্রশ্ন৷ সাধারণত রাজনীতিকদের মধ্যে যে গাফিলতি, কর্তব্যে অনীহা, যে দায়িত্ব এড়ানোর স্বার্থপর মানসিকতা দেখা যায়, সেই নৈরাজ্য এবার তাদের মধ্যেও কায়েম হবে, যাদের হাতে আমরা ছেড়ে রাখছি আমাদের ভবিষ্যৎ? কী শিক্ষা তাঁরা দিয়ে যাবেন আমাদের উত্তর-প্রজন্মকে?

http://www.dw.de/

ধর্ষণ যেন দৈনন্দিন জীবনের অঙ্গ হয়ে উঠেছে ভারতে

ধর্ষণ বা যৌন নিগ্রহের তালিকায় ভারত উঠে এসেছে বিশ্বের তৃতীয় স্থানে৷ কার্যত প্রতি ২২ মিনিটে ভারতের কোথাও না কোথাও একজন সাবালিকা বা নাবালিকাকে যৌন নিগ্রহের শিকার হতে হচ্ছে৷ বলা বাহুল্য, এর দায় দেশের পুলিশ ও বিচার ব্যবস্থার৷

Protest nach Gruppenvergewaltigung und Ermordung zweier Mädchen in Indien 30.05.2014

২০১২ সালে দিল্লির একটি বাসে বিবেক মথিত করা গণধর্ষণকাণ্ডে মেডিক্যাল ছাত্রীর মৃত্যুর ক্ষত শুকায়নি৷ অথচ একই রকমভাবে নিত্যদিন ঘটে চলেছে সাবালিকা বা নাবালিকার ওপর ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের ঘটনা, বরংবার৷ বলতে গেলে প্রতি ২২ মিনিটে ভারতে যৌন নিগ্রহের ঘটনা ঘটছে আর রাজধানী দিল্লিতে ধর্ষণের হার গড়ে দৈনিক চার থেকে পাঁচটি করে৷

অধিকাংশ ঘটনা রক্তহীম করা৷ কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে পশ্চিমবঙ্গের কামদুনিতে এক ছাত্রীকে গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনা, মধ্যমগ্রামে এক কিশোরীকে দফায় দফায় ধর্ষণ করার ঘটনার পর গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করে মেয়েটি৷ হালে দমদমের এক তরুণী গণধর্ষণের শিকার হয়ে সামাজিক লজ্জা আর ঘেন্নায় ট্রেনে গলা দিয়ে জ্বালা জুড়াতে চেয়েছিল৷ ২০১৩ সালের এপ্রিল মাসে চার বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়ে মারা যায়৷ ঐ বছরেরই জুলাই মাসে ১৭ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণ করার পর, তাঁর জিভ কেটে দেয় ঐ ধর্ষক যাতে সে আদালতে গিয়ে সাক্ষ্য দিতে না পারে৷ সেই একই মাসে দু'বছরের এক শিশুর ওপর যৌন অত্যাচার করায় শেষ অবধি শিশুটি মারা যায়৷ পুলিশের কাছে শিশুর মা-বাবা অভিযোগ জানাতে গেলে বলা হয় যে, রাস্তার কুকুর কামড়ানোতে নাকি সে মারা গেছে৷

Gruppenvergewaltigung Proteste Urteil gegen Teenager in Neu Delhi Indien

২০১২ সালে দিল্লিতে এক তরুণীকে গণধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে ফেটে পড়ে সারা ভারত

পাঞ্জাবের ১৮ বছরের এক তরুণী তাঁর ধর্ষককে গ্রেপ্তার করার দাবি জানালে পুলিশ তা করতে অস্বীকার করে৷ আর তরুণীটি বেছে নেয় আত্মহননের পথ৷ হালে উত্তর প্রদেশে এক দলিত পরিবারের দুই বোনকে গণধর্ষণ করে গলায় ফাঁস দিয়ে গাছের ডালে ঝুলিয়ে পালিয়ে যায় নরপশুরা৷ তাঁদের অপরাধ, অজগ্রামে বাড়িতে টয়লেট না থাকায় তাঁরা দুই বোন গিয়েছিল কাছের জঙ্গলে৷

এ সবের জন্য কাকে দায়ী করা উচিত? পুরুষতান্ত্রিক সমাজের বিকৃত মানসিকতা নাকি পুলিশ প্রশাসনের উদাসীনতা নাকি দেশের বিচার ব্যবস্থার ত্রুটি? ধর্ষণ বা যৌন নির্যাতনের ঘটনার অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ প্রথমে চেষ্টা করে অভিযোগ না নিয়ে লোকলজ্জার ভয় দেখিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে টাকা-পয়সা দিয়ে ব্যাপারটা মিটিয়ে ফেলতে৷ উত্তর প্রদেশের ঐ দুই কিশোরীর ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডে পুলিশ থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ তা নিতে টালবাহানা করে৷ পরে জনরোষ ছড়িয়ে পড়লে তদন্ত শুরু করে পুলিশ৷ আরো আছে, দিল্লির এক মহিলাকে যে ব্যক্তি ধর্ষণ করেছিল তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করার কয়েকদিন পর ঐ মহিলা দেখেন যে ঐ ধর্ষক দিব্যি পুলিশ অফিসারের সঙ্গে রাস্তায় দাঁড়িয়ে মেতে রয়েছে খোশগল্পে৷ অনেক সময় পুলিশের চাপে ধর্ষককেই বিয়ে করতে বাধ্য হয় ধর্ষিতা৷

Indien Vergewaltigung Uttar Pradesh Proteste

দিল্লির মানবাধিকার বিষয়ক আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভার মনে করেন, অনেকক্ষেত্রে রক্ষকই হয়ে ওঠে ভক্ষক৷ সাধারণভাবে বলতে গেলে মেয়েদের ভোগ্যপণ্য হিসেবে দেখার 'ভাইরাস' আছে পুরুষ শাসিত সমাজের অস্থিমজ্জায়৷ ২০১১ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত প্রায় এক লাখ ধর্ষণ সংক্রান্ত মামলা ঝুলে আছে দেশের বিভিন্ন আদালতে৷ তার মধ্যে মাত্র ২৬ শতাংশ দোষী সাব্যস্ত হয়েছে৷ এই দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়ার দরুণ মহিলাদের বারংবার আদালতে হাজিরা দিয়ে ধর্ষণের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিররণ দিতে হয় আসামি পক্ষের কৌশুলির জেরায়৷ তখন অনেক নারী ব্যথা, বেদনা আর হতাশায় আত্মহননকেই মনে করেন শ্রেয়৷

১৬ই ডিসেম্বর দিল্লি গণধর্ষণকাণ্ডের পর বিচারপতি ভার্মা কমিটি আইন সংশোধন করে ফাস্ট-ট্র্যাক কোর্টের সুপারিশ করেন৷ তাতে দিল্লি গণধর্ষণ মামলার চারজন আসামির ফাঁসির আদেশ দেয়া হয়৷ কিন্তু আইনি জটিলতায় এখনো তা কার্যকর হয়নি৷ হবে কিনা তাও অনিশ্চিত৷ পশ্চিমবঙ্গ মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন সুনন্দা মুখোপাধ্যায় ডয়চে ভেলেকে বলেন, ''ধর্ষণের ঘটনায় প্রথমেই লোকেরা আঙুল তোলে ধর্ষিতা নারীর দিকে৷ কেন তিনি রাতে বাইরে গিয়েছিলেন? তাঁরা ভুলে যান আজ শিক্ষিত মহিলাদের বাইরে বের হতে হয় নানা কাজকর্মে৷ তার জন্য তাঁকে যৌন নিগ্রহের শিকার হতে হবে? সমাজটা কি একটা জঙ্গল নাকি?''

সমাজবিজ্ঞানী দেবদাস ভট্টাচার্য ডয়চে ভেলেকে বলেন, ''আইন কঠোর করাটাই যথেষ্ট নয়, দেখতে হবে দ্রুত বিচারে তাঁরা দোষী সাব্যস্ত হচ্ছে কিনা৷ দোষী সাব্যস্ত না হলে আইন কঠোর করে লাভ কী?

http://www.dw.de/


যাদবপুর অচল


Google plus share

Facebook share

Twitter share

LinkedIn share


গৌতম চক্রবর্তী


যাদবপুরের ঘটনায় শাম্তিনিকেতনে পাল্টা মিছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের


Google plus share

Facebook share

Twitter share

LinkedIn share



চন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়: শাম্তিনিকেতন, ১৯ সেপ্টেম্বর– যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনার প্রতিবাদে শাম্তিনিকেতনে প্রতিবাদ মিছিলের পাল্টা মিছিল করল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ৷‌ সরাসরি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কোনও পতাকা ফেস্টুন না থাকলেও ছাত্র নেতাদের উপস্হিতি জানান দিচ্ছিল সংগঠনের উপস্হিতি৷‌ মূলত শিক্ষা ক্ষেত্রে যৌন নির্যাতন বা শ্লীলতাহানির ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করার বিরুদ্ধে তারা অভিযোগ তুলে মিছিল করল শাম্তিনিকেতনে৷‌ ছাত্র ঐক্য জিন্দাবাদ স্লোগান তুলে ছাত্রনেতারা অভিযোগের আঙুল তুললেন মাওবাদীদের দিকে৷‌ ছাত্র নেতাদের বক্তব্য, যাদবপুর থেকে বিশ্বভারতী, সব জায়গাতেই শ্লীলতাহানি কিংবা যৌন নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে নোংরা রাজনীতি করা হচ্ছে৷‌ ক্ষতি হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের৷‌ যাদবপুরের উপাচার্য পুলিস ডেকেছে বলে ছাত্র বিক্ষোভ চলছে অন্যদিকে বিশ্বভারতীর উপাচার্য পুলিস ডাকেনি বলে শাম্তিনিকতনে ছাত্র বিক্ষোভ সংগঠিত করা হয়েছিল৷‌ তবে বিশ্বভারতী ছাত্রছাত্রীরা মাওবাদী ছাত্র সংগঠনের ইউ এস ডি এফ এ-র ছক বুঝতে পেরে তার পরদিনই সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়ে দিয়েছিল ইউ এস ডি এফ এ-র সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্ক নেই৷‌ অবস্হা বেগতিক দেখে তারা রণে ভঙ্গ দেয়৷‌ শিক্ষা ক্ষেত্রে অস্হিরতা তৈরি করার জন্যই এই ধরনের ছাত্র সংগঠনগুলি চেষ্টা চালাচ্ছে৷‌ ছাত্রনেতা অচিম্ত্য বাগদী বলেন, ওদের বিরুদ্ধেই এই প্রতিবাদ৷‌ তবে তাঁরা যে দোষীদের শাস্তির দাবিও জানাচ্ছেন তা জানাতে ভোলেননি ছাত্র নেতাটি৷‌ অন্য দিকে, বাম ছাত্র সংগঠনের বক্তব্য, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মতো তাঁর দলের ছাত্র সংগঠনও বিশ্বভারতী বা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় মাওবাদী যোগ খুঁজে পাবেন এতে আর আশ্চর্য কি? তবে তাঁরা জানিয়েছেন ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থে তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন৷‌



আজকালের প্রতিবেদন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক অবস্হা ফেরাতে রাজ্য সরকারকে আইন অনুযায়ী ব্যবস্হা নিতে বলল কলকাতা হাইকোর্ট৷‌ প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুর শুক্রবার বলেন, ছাত্র স্বার্থে শিক্ষাঙ্গনে স্বাভাবিক অবস্হা ফেরানো রাজ্যের প্রশাসনিক কাজ৷‌ তার জন্য যা করার দরকার তা রাজ্য করবে৷‌ কিন্তু যেন এমন কিছু না করে যা আইনানুগ নয়৷‌ রাজ্য সরকারের আইনজীবী কল্যাণ ব্যানার্জির মম্তব্যের জেরে একথা বলেছেন প্রধান বিচারপতি৷‌ আর বুধবারের মধ্যে রাজ্য সরকারকে হলফনামা দিতে বলেছেন৷‌ প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুর ও বিচারপতি অসীম ব্যানার্জির ডিভিশন বেঞ্চ লিখিত নির্দেশ দেয়, রাজ্য সরকার জানাক যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্হিতি স্বাভাবিক করতে এই পর্যম্ত তারা কী কী ব্যবস্হা নিয়েছে৷‌ আর এই মামলায় যুক্ত হতে চাইলে ছাত্রদের আলাদা করে লিখিত আবেদন জানাতে বলেছেন৷‌ বিমল নন্দ নামে একজন অধ্যাপক বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্হিতি স্বাভাবিক করার আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছেন৷‌ ছাত্রদের পক্ষে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, অরুণাভ ঘোষ-সহ আইনজীবীরা আদালতে প্রশ্ন তুলেছেন এই মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে৷‌ আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী কিশোর দত্ত আদালতে বলেন, ছাত্রদের বয়কটের ফলে বিশ্ববিদ্যালয় কার্যত অচল৷‌ পরিস্হিতি স্বাভাবিক করতে হাইকোর্ট প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিক৷‌ প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুর বলেন, ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে কী হচ্ছে না হচ্ছে তা আমরা টিভি-র পর্দায় দেখেছি৷‌ ৮০ শতাংশ ছাত্রছাত্রী স্বাভাবিক পরিস্হিতিতে পড়াশোনা করতে চায়৷‌ দেখতে হবে সরকার এই ব্যাপারে কী ব্যবস্হা নিয়েছে৷‌ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য আদালতকে বোঝানোর চেষ্টা করেন কী কারণে ছাত্ররা প্রতিবাদ আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন৷‌ কিশোর দত্ত আপত্তি জানিয়ে বলেন, উনি এই মামলায় অংশগ্রহণকারী নন৷‌ প্রধান বিচারপতিও জিজ্ঞাসা করেন কার হয়ে এই মামলায় অংশভুক্ত হয়েছেন৷‌ তখন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য জানান ছাত্রদের হয়ে৷‌ এ-ও বলেন, যিনি এই জনস্বার্থ মামলা করেছেন তিনি কে? তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নন, শিক্ষক নন, কর্মীও নন৷‌ জয়দীপ কর বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে সওয়াল করেন৷‌ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সহ-উপাচার্যকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে দিচ্ছে না৷‌ গত ২৮ আগস্ট থেকে ছাত্ররা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন চালাচ্ছে৷‌ পরিস্হিতি ক্রমাগত খারাপ দিকে যাচ্ছে৷‌ মঙ্গলবার বিকেল ৪টে থেকে রাত ৯টা পর্যম্ত বোঝানোর চেষ্টা করেন যাতে তারা ঘেরাও তুলে নেয়৷‌ একটা সময় তিনি জীবনহানির আশঙ্কা করে পুলিসের কাছে সাহায্য চান৷‌ ওখানে বহিরাগতরা যাতে না ঢুকতে পারে আপনি তেমন কোনও নির্দেশ দিন৷‌ প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর সর্বসাধারণের জায়গা৷‌ আমি কি হাইকোর্টে সাধারণ মানুষের ঢোকার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারি? আইনজীবী জয়দীপ কর তখন প্রবেশপত্র তৈরির জন্য নির্দেশ দিতে বলেন৷‌ প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুর তখন জিজ্ঞাসা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গোটা ক্যাম্পাসটা কি পাঁচিল দিয়ে ঘেরা? আর বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের উদ্দেশে বলেন, আমি এমন কোনও নির্দেশ দিচ্ছি না যাতে কোনও পক্ষের স্বাধিকার খর্ব হয়৷‌ আপনি এই মামলায় অম্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য আলাদা করে আবেদন জানান৷‌ কল্যাণ ব্যানার্জি আদালতকে বলেন, রাজ্য সরকার ওখানে শাম্তিশৃঙ্খলা ফেরাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা নিয়েছে৷‌

আনন্দ বাজারের খবর



অসঙ্গতি দেখে সক্রিয় রাজ্যপাল

শিক্ষামন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রসচিবের ব্যাখ্যা শোনা হয়ে গিয়েছিল বৃহস্পতিবারই। যাদবপুরের ঘটনা নিয়ে শুক্রবার তবু কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে তলব করলেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। এর পরে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত পড়ুয়াদের বক্তব্য শুনতে চান। যাদবপুরের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা এবং প্রশাসনের ব্যাখ্যায় তিনি যে সন্তুষ্ট নন, রাজ্যপালের পদক্ষেপে এই বার্তাই স্পষ্ট বলে প্রশাসনের একাংশ মনে করছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

e e e


নিগ্রহের তদন্তে পুলিশ ডাকেননি উপাচার্যই

নিজের প্রাণসংশয়ের কথা বলে যাদবপুরের ছাত্র আন্দোলন ভাঙতে পুলিশ ডাকতে দ্বিধা করেননি তিনি। উপাচার্যের সেই সিদ্ধান্তের পরিণতিতে পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে নির্বিচারে পিটিয়েছে ছাত্রছাত্রীদের। কিন্তু এক তরুণীর শ্লীলতাহানির দায়ে অভিযুক্ত কয়েক জন ছাত্রকে চিহ্নিত করে তদন্তের জন্য ক্যাম্পাসে পুলিশ ঢোকাতে সেই উপাচার্যই কিন্তু পিছু হটেছিলেন। অভিযোগকারিণী ছাত্রীর বাবার আর্জি উড়িয়ে দিয়ে তিনি বলেছিলেন পুলিশ ক্যাম্পাসে ঢুকলে যাদবপুরের ভাবমূর্তি, মর্যাদা, সব তছনছ হয়ে যাবে!

নিজস্ব সংবাদদাতা

২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

e e e


ADVERTISEMENTClick Here!

মারাত্মক অস্ত্রের সামনে নিরস্ত্র পুলিশ কেন

কর্তার যুক্তি নিয়ে তর্ক ওঠালেন কর্মীরাই। যাদবপুর-কাণ্ডে পুলিশ কমিশনারের দাবি শুনে বাহিনীর অন্দরে এখন প্রশ্ন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে সেই রাতে 'মারাত্মক অস্ত্র' নিয়ে বহিরাগতেরা যদি সত্যিই ছিল, তা হলে লালবাজার সব জেনেশুনে 'নিরস্ত্র' পুলিশকর্মীদের তাদের মুখে ঠেলে দিল কেন? কলকাতার পুলিশ কমিশনার সুরজিৎ কর পুরকায়স্থ বৃহস্পতিবার দাবি করেছেন, মঙ্গলবার রাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভিতরে মারাত্মক অস্ত্র নিয়ে কিছু বহিরাগত ছিলেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

e e e


আলোচনাতেই বাধা সরালেন যাদবপুরের সহ-উপাচার্যরা

ঢুকতে বাধা পেয়ে সকাল ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টে পর্যন্ত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে চেয়ার পেতে বসেছিলেন তাঁরা। পুলিশ ডাকেননি। বিকেলের পরে রেজিস্ট্রার প্রদীপ ঘোষ এবং সহ-উপাচার্য সিদ্ধার্থ দত্তকে দফতরে ঢুকতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন যাদবপুরের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। হাতজোড় করে বলেন, "স্যার, আপনারা ভিতরে যান।"

নিজস্ব সংবাদদাতা

২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

e e e


কড়া বার্তা দিতে অভিজিৎকেই রাখতে চায় রাজ্য

ছাত্র-বিক্ষোভের সামাল দিতে পুলিশ ডাকা নিয়ে প্রবল বিতর্কের পরেও তারা যে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তীর পাশেই থাকছে, সেটা বৃহস্পতিবারেই পরিষ্কার করে দিয়েছিল রাজ্য সরকার। শুধু তা-ই নয়, আচার্য-রাজ্যপাল কোনও বিরূপ মত না-দিলে উপাচার্যের পদে অভিজিৎবাবুকে আরও ছ'মাসের জন্য রাখা হতে পারে বলেও শুক্রবার সরকারি সূত্রে ইঙ্গিত মিলেছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

e e e


লিলুয়ায় সৌহার্দ্যের ঘেরাও সুনিদ্রায় শেষ

কর্তৃপক্ষকে ঘেরাও করে রাখার জন্য কলেজের যে-সব গেটে বৃহস্পতিবার রাতে তালা দেওয়া হয়েছিল, শুক্রবার ভোর হওয়া মাত্র বিক্ষোভকারী পড়ুয়ারাই সেগুলো খুলে দিলেন। আবার যে-সব ঘেরাওকারী পড়ুয়া কলেজ ক্যাম্পাসে ঘুমিয়ে ছিলেন, বাড়ি যাওয়ার সময় তাঁদের ডেকে তুললেন সারা রাত ঘেরাও হয়ে থাকা অধ্যক্ষ-শিক্ষকেরাই।

শান্তনু ঘোষ

২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

e e e


শৃঙ্খলা রক্ষায় বেআইনি পথ নয়, মত হাইকোর্টের

আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে গিয়ে কোনও বেআইনি পদ্ধতির আশ্রয় নেওয়া রাজ্যের পক্ষে উচিত হবে না বলে শুক্রবার মন্তব্য করল কলকাতা হাইকোর্ট। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি তুলে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে বৃহস্পতিবার জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। এ দিন ওই মামলার শুনানির সময়ে প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুর রাজ্য সরকারকে তাদের দায়িত্বের কথা মনে করিয়ে দিয়ে মন্তব্য করেন, "আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজ রাজ্যের।

নিজস্ব সংবাদদাতা

২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

e e e


পুরো কাশ্মীর ফেরাবোই, হুঙ্কার বেনজির-পুত্রের

কাশ্মীর ঠিক পুনরুদ্ধার করে আনবেন তিনি, গত কাল মূলতানে এক সমাবেশে গিয়ে এমনটাই দাবি করেন বিলাবল ভুট্টো। স্বাভাবিক ভাবেই, বেনজির ভুট্টো-র পুত্র তথা পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)-র তরুণ নেতার এ হেন হুঙ্কারে বিতর্কের ঝড় উঠতে বিশেষ সময় লাগেনি। দিল্লি অবশ্য বিলাবলের বার্তাকে স্রেফ 'বাচ্চাদের মতো কথা' বলেই উড়িয়ে দিয়েছে।

সংবাদ সংস্থা

২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

e e e


এ বার পুরুলিয়ায় মিলল'মাওবাদী' পোস্টার-ব্যানার

সিপিআই (মাওবাদী), সংগঠনের দশ বছর পূর্তি আজ, রবিবার। তার ঠিক আগের দিনই, শনিবার সকালে পুরুলিয়ার আড়শায় মিলল মাওবাদীদের ফুট চারেক লম্বা দলীয় ব্যানার। সঙ্গে বেশ কিছু পোস্টার এবং পুস্তিকা। বেলপাহাড়ির পর এ বার পুরুলিয়ায়। জঙ্গলমহলে ফের তাদের আনাগোনা শুরু হয়েছে বলে গোয়েন্দাদের কপালে বেশ কিছু দিন ধরেই ভাঁজ পড়ছিল। বেলপাহাড়ি এবং আড়শার ঘটনায় স্পষ্ট হল, সেই ভ্রূকুঞ্চন ভুল নয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

e e e


সিবিআই মোকাবিলায় এক মঞ্চে মুকুল-শুভেন্দু

বিরল ফ্রেম। হাসিমুখে হাত ধরাধরি করে তৃণমূলের দুই সাংসদ মুকুল রায় এবং শুভেন্দু অধিকারী! শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায়। তবে কি সারদা-কাণ্ডই মিলিয়ে দিল দু'জনকে! শুরু হয়েছে গুঞ্জন। সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুলবাবু এবং সাংসদ শুভেন্দুর বিরোধ নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে জল্পনা বিস্তর।

নিজস্ব সংবাদদাতা

২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

e e e


কী আর বলব স্যার! স্তিমিত রজত জেলেই

শেষ পর্যন্ত জেলেই গেলেন প্রাক্তন ডিজি। সারদা কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে তৃণমূল নেতা তথা রাজ্য পুলিশের প্রাক্তন ডিজি রজত মজুমদারকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। নিজেদের হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের পর শুক্রবার তাঁকে আদালতে হাজির করানো হয়। রজতবাবুর আইনজীবী জামিনের আর্জি জানালেও সিবিআইয়ের আবেদন মেনে তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠিয়েছেন আলিপুরের অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট হারাধন মুখোপাধ্যায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

e e e


দিল্লির রাস্তায় দেল পিয়েরোর সাংবাদিক সম্মেলন

ভারতে খেলতে এসে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ফুটবলার তাঁর প্রথম সাংবাদিক সম্মেলন করলেন রাস্তায়! নেপথ্যে নিরাপত্তার কড়াকড়ি! আইএসএলে দিল্লি ডায়নামোসের হয়ে খেলতে গতকালই দিল্লিতে পা দিয়েছিলেন জুভেন্তাস ও ইতালির বিখ্যাত ফরোয়ার্ড আলেসান্দ্রো দেল পিয়েরো।

নিজস্ব প্রতিবেদন

২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

e e e




মধ্যমগ্রাম গণধর্ষণ

৫ অভিযুক্তের ২০ বছরের কারাদণ্ড


Google plus share

Facebook share

Twitter share

LinkedIn share



সোহম সেনগুপ্ত: একটু আগেই সাজা ঘোষণা করেছে আদালত৷‌ কেঁদে চলেছেন পরিবারের লোকজন৷‌ কিন্তু নির্বিকার তাঁদের বাড়ির ছেলেরা৷‌ ঘৃণ্যতম অপরাধের জন্য এতটুকু মনস্তাপ নেই তাদের৷‌ নির্বিকারভাবেই আদালতে থেকে বেরিয়ে যায় বছর বাইশের ৫ যুবক৷‌ মধ্যমগ্রাম গণধর্ষণ-কাণ্ডে শুক্রবার বারাসত আদালতের দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ শাম্তনু ঝা ওই ৫ অভিযুক্তকে ২০ বছরের কারদণ্ডের নির্দেশ দেন৷‌ সাজাপ্রাপ্তরা হল সঞ্জীব তালুকদার, রাজেশ মণ্ডল, রাজীব বিশ্বাস, পাপাই রায় ও পলাশ দেবনাথ৷‌ রাজসাক্ষী হওয়ায় অ্যান্টনি সাচ্ছিকে মুক্তি দেন বিচারক৷‌ মাত্র ১১ মাসের মাথায় বর্বর এই ঘটনার সাজা ঘোষণা হল৷‌ গত অক্টোবরে মধ্যমগ্রামের পাটুলি শিবতলায় বাড়িভাড়া নিয়েছিলেন নির্যাতিতার পরিবার৷‌ বাবা পেশায় ‌ট্যাক্সিচালক৷‌ বিহারের বাসিন্দা৷‌ গত ২৫ অক্টোবরে রাতে বাড়ি থেকে ওই নাবালিকাকে ডেকে নিয়ে যায় সঞ্জীব ও তার বন্ধুরা৷‌ ৫ বন্ধু মিলে ধর্ষণ করে৷‌ পরে জানাজানি হতে এলাকায় হইচই পড়ে যায়৷‌ ভয় হুমকিতে নাবালিকার পরিবারকে এলাকা ছাড়তে হয়৷‌ বিমানবন্দর এলাকায় ঘরভাড়া নেয় তারা৷‌ সেখানেও চলতে থাকে হুমকি৷‌ মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য চাপ বাড়তে থাকে৷‌ এর পর ডিসেম্বর মাসে তাকে ঘরের মধ্যে অগ্নিদগ্ধ অবস্হায় পাওয়া যায়৷‌ কয়েকদিন বাদে হাসপাতালে মারা যায় নির্যাতিতা৷‌ পরিবার ফিরে যায় বিহারে৷‌ তার পর থেকে মামলা চলছিল৷‌ ৩৫ জন সাক্ষ্য দেন৷‌ পুলিসি তৎপরতায় দ্রুত চার্জশিট জমা পড়ে৷‌ অভিযুক্তরা আস্তে আস্তে ধরা পড়ে৷‌ বৃহস্পতিবার ৫ অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত৷‌ এদিন কড়া নিরাপত্তার মধ্যে অভিযুক্ত ৫ জনকে পৌনে এগারোটা নাগাদ বারাসত আদালতে নিয়ে আসা হয়৷‌ দুপুর ১টা ১৫ নাগাদ এজলাসে বিচারক অভিযুক্তদের বলেন, তারা যে অপরাধ করেছে তাতে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন পর্যম্ত সাজা হতে পারে৷‌ অভিযুক্ত ৫ জনকে ২০ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন৷‌ সেই সঙ্গে ৫ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়৷‌ জরিমানা অনাদায়ে তাদের আরও এক বছর জেলে রাখারও নির্দেশ দেওয়া হয়৷‌ এই মামলার সরকারি আইনজীবী বিপ্লব রায় জানান, সাক্ষীদের সহযোগিতায় প্রশাসনের উদ্যোগে ১১ মাসের আগেই এই মামলার রায় হল৷‌ বিচারকের রায় শোনার পর এজলাসে মধ্যেই কান্নায় ভেঙে পড়েন আসামির পরিবারের লোকেরা৷‌ নির্যাতিতার কাকা প্রমোদ ঝা জানান, প্রথম থেকেই তাঁদের বিচার ব্যবস্হার ওপর পূর্ণ আস্হা ছিল৷‌ আদালতের এই রায়ে তিনি ও নিহত নাবালিকার বাবা রমাশঙ্কর ঝা অত্যম্ত খুশি বলেও জানান প্রমোদবাবু৷‌ এদিন বিকেলে আদালত থেকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে আসামিদের দমদম সংশোধনাগারে নিয়ে যাওয়া হয়৷‌




লাভপুরে গণধর্ষণ-কাণ্ড

আজ সাজা ঘোষণা, দোষী সাব্যস্ত ১৩


Google plus share

Facebook share

Twitter share

LinkedIn share



চন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়: বোলপুর, ১৯ সেপ্টেম্বর– লাভপুরের সুবলপুর গ্রামে আদিবাসীদের সালিশি সভায় মোড়লের নির্দেশে গণধর্ষণের মামলায় ধৃত ১৩ জনকেই দোষী সাব্যস্ত করল বোলপুর আদালত৷‌ শুক্রবার অতিরিক্ত দায়রা বিচারক সিদ্ধার্থ রায়চৌধুরি মোড়ল বলাই মার্ডি-সহ ১৩ জনকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪২, ৩২৩ ও ৩৭৬ডি ধারায় দোষী সাব্যস্ত করেছেন৷‌ শনিবার হবে সাজা ঘোষণা৷‌ সরকারি আইনজীবী সামসুর জোহা জানিয়েছেন ৩৭৬ডি ধারায় গণধর্ষণের অভিযোগে ন্যূনতম ২০ বছর ও সর্বাধিক আমৃত্যু জেল হতে পারে৷‌ উল্লেখ করা যেতে পারে, ভিন্ন সম্প্রদায়ের এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক রাখার অভিযোগে ২০ জানুয়ারি লাভপুর থানার সুবলপুর গ্রামে এক সালিশি সভায় এক আদিবাসী যুবতীকে মোটা টাকা জরিমানা করে৷‌ তা দিতে না পারায় মোড়ল গণধর্ষণের নিদান দেন৷‌ ২২ জানুয়ারি নির্যাতিত ওই যুবতী লাভপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মোড়ল-সহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে৷‌ পুলিস ওই রাতেই ১৩ জনকেই গ্রেপ্তার করে৷‌ ২৩ জানুয়ারি বোলপুর আদালতে অভিযুক্তদের হাজির করানো হয়৷‌ ওই দিন পুলিস তাদের হেফাজতে না নেওয়ায় মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে জেলা পুলিস সুপার সি সুধাকরকে ওই দিনই বদলি করে দেওয়া হয়৷‌ ২৪ জানুয়ারি পুলিস ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তদম্ত শুরু করে৷‌ ৯ মাসের মাথায় ওই মামলার রায় ঘোষণা হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই খুশি নির্যাতিতার পরিবার৷‌ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সুপ্রিম কোর্ট তদম্তের নির্দেশ দেয় এবং ওই নির্যাতিতাকে পুনর্বাসনের ব্যবস্হা করারও নির্দেশ দেয়৷‌ জাতীয় মহিলা কমিশন থেকে শুরু করে রাজ্য মহিলা কমিশন, বিভিন্ন নারীবাদী সংগঠন এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে নির্যাতিতার পাশে দাঁড়ায়৷‌ রাজ্য সরকারের তরফে সুবলপুর গ্রামের পাশেই নির্যাতিতা ও তার পরিবারের বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হয়৷‌






No comments:

Post a Comment

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...

Census 2010

Welcome

Website counter

Followers

Blog Archive

Contributors