ছাপরা ও পাটনা: বিহারে একটি সরকারি প্রাথমিক স্কুলে মিড ডে মিলের খাবার খেয়ে মৃতদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২১। অন্য দিকে এক রাঁধুনি-সহ ২৭ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পাটনা মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতাল (পিএমসিএইচ)-এ স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
মৃতদের মধ্যে ১৬ জনের বয়স ১০ বছরের মধ্যে এবং তারা প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়া। আবার পিএমসিএইচ-এ আনার পরই চার জনকে মৃত ঘোষণা করে হাসপাতাল কতৃর্পক্ষ।
হাসপাতাল সুপার অমরকান্ত ঝা আজাদ জানান, আক্রান্তদের পেডিয়াট্রিক বিভাগের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের চিকিত্সা চলছে।
পাটনা থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে ধর্মসতী প্রাথমিক বিদ্যালয়৷ লালু প্রসাদ যাদবের নির্বাচনী ক্ষেত্রের মধ্যে পড়ে এই বিদ্যালয়৷ গ্রামবাসীদের অভিযোগ, যে তেল দিয়ে দুপুরে তরকারি রান্না করা হয়েছে, তা আসলে বিষাক্ত ছিল৷ এক গ্রামবাসী বলেছেন, 'আমরা যখন স্কুলে গিয়ে পৌঁছই, তখন দেখি যে ওই তেল থেকে বিশ্রী গন্ধ বেরোচ্ছে৷ আর ওই তেলেই রান্না হচ্ছে৷' স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা জানিয়েছেন, দুপুরে খাওয়ার পর থেকেই অনেক পড়ুয়া অসুস্থ বোধ করতে থাকে৷ কেউ কেউ বমি করতে থাকে৷ তাদের সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ সরনের জেলাশাসক অভিজিত্ সিনহা বলেন, 'যে খাবার ওদের দেওয়া হয়েছিল, তা পরীক্ষা করে তার মধ্যে কিছু এমন বস্তু মিলেছে, যা খাবারে থাকারই কথা নয়৷ সম্ভবত খাদ্যে বিষক্রিয়ায়েই এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে৷ তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে আসল কারণ জানা যাবে৷'
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার মৃতদের নিকট আত্মীয়কে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেবেন বলে ঘোষণা করেছেন৷ রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীকে তিনি এ দিন মিড-ডে মিলের মান খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিয়েছেন৷ ইতিমধ্যেই ডিআইজি-র নেতৃত্বে শুরু হয়েছে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত৷ পৌঁছেছেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরাও৷
তবে মৃত্যুতে রাজনীতি অব্যাহতই৷ লালু অভিযোগ করেন, 'যে এনজিও মিড-ডে মিল সরবরাহের দায়িত্বে আছে, তারা শিক্ষা বিভাগের সঙ্গে পরামর্শ করেই অতি নিম্ন মানের খাদ্য সরবরাহ করেছে৷' তাঁর বক্তব্য, 'এ রকম ঘটনা বিহারে কেন ঘটছে তা খতিয়ে দেখতে হবে৷ এর পিছনে কোনও অশুভ আঁতাত আছে৷' এই ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার বিহার বন্ধের ডাক দিয়েছে আরজেডি৷ বন্ধের ডাক দিয়েছে বিজেপি-ও। লোক জনশক্তি পার্টির প্রধান রামবিলাস পাসোয়ান নীতীশ কুমারের পদত্যাগ দাবি করেছেন৷
বিরোধী দলনেতা নন্দ কিশোর যাদব, সুশীল কুমার মোদী এবং বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি মঙ্গল পাণ্ডে মাশরাখ রওনা দিয়েছেন। সেখানে তাঁরা মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন।
মৃতদের মধ্যে ১৬ জনের বয়স ১০ বছরের মধ্যে এবং তারা প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়া। আবার পিএমসিএইচ-এ আনার পরই চার জনকে মৃত ঘোষণা করে হাসপাতাল কতৃর্পক্ষ।
হাসপাতাল সুপার অমরকান্ত ঝা আজাদ জানান, আক্রান্তদের পেডিয়াট্রিক বিভাগের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের চিকিত্সা চলছে।
পাটনা থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে ধর্মসতী প্রাথমিক বিদ্যালয়৷ লালু প্রসাদ যাদবের নির্বাচনী ক্ষেত্রের মধ্যে পড়ে এই বিদ্যালয়৷ গ্রামবাসীদের অভিযোগ, যে তেল দিয়ে দুপুরে তরকারি রান্না করা হয়েছে, তা আসলে বিষাক্ত ছিল৷ এক গ্রামবাসী বলেছেন, 'আমরা যখন স্কুলে গিয়ে পৌঁছই, তখন দেখি যে ওই তেল থেকে বিশ্রী গন্ধ বেরোচ্ছে৷ আর ওই তেলেই রান্না হচ্ছে৷' স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা জানিয়েছেন, দুপুরে খাওয়ার পর থেকেই অনেক পড়ুয়া অসুস্থ বোধ করতে থাকে৷ কেউ কেউ বমি করতে থাকে৷ তাদের সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ সরনের জেলাশাসক অভিজিত্ সিনহা বলেন, 'যে খাবার ওদের দেওয়া হয়েছিল, তা পরীক্ষা করে তার মধ্যে কিছু এমন বস্তু মিলেছে, যা খাবারে থাকারই কথা নয়৷ সম্ভবত খাদ্যে বিষক্রিয়ায়েই এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে৷ তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে আসল কারণ জানা যাবে৷'
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার মৃতদের নিকট আত্মীয়কে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেবেন বলে ঘোষণা করেছেন৷ রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীকে তিনি এ দিন মিড-ডে মিলের মান খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিয়েছেন৷ ইতিমধ্যেই ডিআইজি-র নেতৃত্বে শুরু হয়েছে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত৷ পৌঁছেছেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরাও৷
তবে মৃত্যুতে রাজনীতি অব্যাহতই৷ লালু অভিযোগ করেন, 'যে এনজিও মিড-ডে মিল সরবরাহের দায়িত্বে আছে, তারা শিক্ষা বিভাগের সঙ্গে পরামর্শ করেই অতি নিম্ন মানের খাদ্য সরবরাহ করেছে৷' তাঁর বক্তব্য, 'এ রকম ঘটনা বিহারে কেন ঘটছে তা খতিয়ে দেখতে হবে৷ এর পিছনে কোনও অশুভ আঁতাত আছে৷' এই ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার বিহার বন্ধের ডাক দিয়েছে আরজেডি৷ বন্ধের ডাক দিয়েছে বিজেপি-ও। লোক জনশক্তি পার্টির প্রধান রামবিলাস পাসোয়ান নীতীশ কুমারের পদত্যাগ দাবি করেছেন৷
বিরোধী দলনেতা নন্দ কিশোর যাদব, সুশীল কুমার মোদী এবং বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি মঙ্গল পাণ্ডে মাশরাখ রওনা দিয়েছেন। সেখানে তাঁরা মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন।
No comments:
Post a Comment