Wednesday, August 28, 2013

অক্টোবরে বাড়তে চলেছে রেলের পণ্যমাসুল

অক্টোবরে বাড়তে চলেছে রেলের পণ্যমাসুল

অক্টোবরে বাড়তে চলেছে রেলের পণ্যমাসুল
নয়াদিল্লি: ফের রেলের পণ্য পরিবহন মাসুল বাড়তে চলেছে৷ জ্বালানির দাম ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়াতেই পণ্য পরিবহন মাসুল বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রক৷ অক্টোবরে রেলের জ্বালানি বাবদ খরচ পর্যালোচনা করার সময়ই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে৷ তবে, এর প্রভাব যাত্রীভাড়ার উপর পড়বে না৷ মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, 'ইতিমধ্যেই পণ্যমাসুল বাড়ানো হয়েছে৷ চলতি বর্ষের বাজেট প্রস্তাব অনুযায়ী অক্টোবরে পণ্য পরিবহন মাসুল আবার বাড়ানো হবে৷' এপ্রিলেই পণ্য পরিবহন মাসুল ৫.৭ শতাংশ বাড়িয়েছে রেলমন্ত্রক৷ রেলের রাজস্ব বাড়ানোর লক্ষ্যে এবং কাকোদকর ও পিত্রোদা কমিটির সুপারিশ মেনে ওই মাসুল বাড়ানো হয়৷ ডিজেল ও বিদ্যুতের মাসুল বাড়া কমার সঙ্গে সঙ্গে রেলেরও পণ্য পরিবহন মাসুল বাড়বে কমবে বলে বাজেট প্রস্তাবে জানানো হয়েছিল৷ জ্বালানি ও বিদ্যুতের বর্ধিত মূল্যের কথা মাথায় রেখে 'ফুয়েল অ্যাডজাস্টমেন্ট কম্পোনেন্ট' (এফএসি) অর্থাত্‍ জ্বালানির মূল্য পরিবর্তনের সঙ্গে রেল ভাড়ার পরিবর্তন পর্যালোচনার মাধ্যমেই অক্টোবরে পণ্য পরিবহন মাসুল বাড়াবে রেল মন্ত্রক৷ পণ্য পরিবহন মাসুল বাড়লে পাল্লা দিয়ে বাড়বে শাক, সবজি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামও৷ এর ফলে মূল্যবৃদ্ধি আরও বাড়তে পারে৷ 

তবে, এখনই যাত্রীভাড়া বাড়ানো হবে না বলে জানিয়েছেন রেল প্রতিমন্ত্রী৷ তিনি বলেন, 'রেল বাজেটেই এফএসি-র প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল৷ তখনই জ্বালানির দামের উপর নির্ভর করে প্রতি ছ'মাস অন্তর মাসুল ঠিক করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল৷' তিনি বলেন, 'মাসুল নির্ধারণ একমুখী হবে না৷ মাসুল যেমন বাড়ানো হবে তেমনি পরিস্থিতির বিচারে তা কমানোও হবে৷ আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম পড়লে পণ্য পরিবহন মাসুলও কমবে৷' টাকার বিনিময় দরে পতন প্রসঙ্গে চৌধুরী বলেন, 'টাকার দরে পতন আমাদের সকলের কাছেই চিন্তার বিষয়৷' রেলের মাসুল নির্ধারণের জন্য একটি পৃথক সংস্থা-রেল টারিফ অথরিটি (আরটিএ)- তৈরি করতে চলেছে রেল মন্ত্রক৷ বিষয়টি এ মাসেই মন্ত্রিসভার সম্মতি পেয়েছে৷ আরটিএ তৈরি হয়ে গেলে জ্বালানি বাবদ খরচ ও বাজারের পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে পণ্য পরিবহন ও যাত্রী মাসুল দুই ঠিক করবে সংস্থাটি৷ রেল সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে চিনকে অনুকরণ করতে বলেন চৌধুরী৷ ভারত ও চিনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করার পক্ষেও সওয়াল করেল রেল প্রতিমন্ত্রী৷ রেলপথে দিল্লি থেকে বেজিং যাওয়ার ইচ্ছাও প্রকাশ করেন তিনি৷ 

চৌধুরী বলেন, 'বেসরকারি সংস্থাগুলির রেলে বিনিয়োগের যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে৷ টেলিকম ও আমদানি ক্ষেত্রে বেসরকারি বিনিয়োগের পরিমাণ যথাক্রমে ৮২ শতাংশ ও ৮০ শতাংশ হলেও রেলে তা নগন্য৷' দ্বাদশ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগ মিলিয়ে এক লক্ষ কোটি টাকার প্রয়োজন আছে বলেও জানান তিনি৷

No comments:

Post a Comment

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...

Census 2010

Welcome

Website counter

Followers

Blog Archive

Contributors