Sunday, February 3, 2013

কিন্তু সংখ্যালঘু সরকার গণসংহার নীতি প্রণয়নে সংসদে যা কিছু তাই সর্বদলীয় সম্মতিতে পাশ করিয়ে নিচ্ছে, সে ব্যাপারে কোনো ব্যাতিক্রম হয় না। এই ত, ভার্মা কমিশনের রিপোর্টকে ডাস্টবিনে ছুংড়ে ফেলে দিয়ে আফস্পা অর্থাত সশস্ত্র সৈন্যব বিশেষাধিকার আইন বহাল রেখে, সশস্তর বাহিনীকে ধর্ষনের লাইসেন্স দিতে দেশের মহিলা সংগঠনগুলির বিরোধিতা সত্বেও রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি অর্ডিন্যান্স জারি করলেন। সরকারের ইচ্ছা শক্তি খথাকলে সবকিছুই সম্ভব।সরকার জাতি ভিত্তিক জনগণনার বিরুদ্ধে, এটা হলে উন্নয়নের গপ্পো বাতিল হয়ে যাবে।পরিকল্পনা খাতে জনসংখ্যাঅনুযায়ী বরাদ্দ করতে হবে।তাই বাংলার নন্দীর মন্তব্যকে সমর্থন জানিয়ে বাংলার বহুজনসমাজের উচিত এক্ষুনি জাতি ভিত্তিক জনগণনা ও ওবিসিদের যথাযথ চিন্হিত করার দাবিতে রাস্তায় নামা।তাঁদের রাস্তায় নামা উচিত, কার কতটা উন্নয়ন হল, সেটা জানতে সাচ্চার কমিটির আদলে আরেকটি আয়োগ গঠনের দাবিতে। পলাশ বিশ্বাস

কিন্তু সংখ্যালঘু সরকার গণসংহার নীতি প্রণয়নে সংসদে যা কিছু তাই সর্বদলীয় সম্মতিতে পাশ করিয়ে নিচ্ছে, সে ব্যাপারে কোনো ব্যাতিক্রম হয় না। এই  ত, ভার্মা কমিশনের রিপোর্টকে ডাস্টবিনে ছুংড়ে ফেলে দিয়ে আফস্পা অর্থাত সশস্ত্র সৈন্যব বিশেষাধিকার আইন বহাল রেখে, সশস্তর বাহিনীকে ধর্ষনের লাইসেন্স দিতে দেশের মহিলা সংগঠনগুলির বিরোধিতা সত্বেও রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি অর্ডিন্যান্স জারি করলেন। সরকারের ইচ্ছা শক্তি খথাকলে সবকিছুই সম্ভব।সরকার জাতি ভিত্তিক জনগণনার বিরুদ্ধে, এটা হলে উন্নয়নের গপ্পো বাতিল হয়ে যাবে।পরিকল্পনা  খাতে জনসংখ্যাঅনুযায়ী বরাদ্দ করতে হবে।তাই বাংলার নন্দীর মন্তব্যকে সমর্থন জানিয়ে বাংলার বহুজনসমাজের উচিত এক্ষুনি জাতি ভিত্তিক জনগণনা ও ওবিসিদের যথাযথ চিন্হিত করার দাবিতে রাস্তায় নামা।তাঁদের রাস্তায় নামা উচিত, কার কতটা উন্নয়ন হল, সেটা জানতে সাচ্চার কমিটির আদলে আরেকটি আয়োগ গঠনের দাবিতে

পলাশ বিশ্বাস


সমাজবিজ্ঞানী আশিস নন্দীর মন্তব্যে সারা দেশ তোলপাড়, কিন্তু পশ্চিম বঙ্গে কেউ মুখ খুলছেন না।বেশির ভাগ দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষ অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি, তফসিলি জাতি এবং তফসিলি জনজাতির লোক'জয়পুর সাহিত্য উৎসবে সমাজবিজ্ঞানী আশিস নন্দীর এই মন্তব্যে এই সব বর্গের মানুষ ক্ষুব্ধ হয়েছেন, মর্মাহতও।

 শুক্রবারই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা ধর্ষণের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ হিসেবে একটি অর্ডিন্যান্স পাশ করে। এর বিরোধিতা করে বেশ কয়েকটি মহিলা সংগঠন ও সিভিল সোসাইটি রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কাছে আবেদনও জানায় যাতে তিনি এর পক্ষে সম্মতি না দেন। কিন্তু এই সব কিছুকে খুব একটা আমল না দিয়ে রবিবার এই অর্ডিন্যান্সে সই করলেন রাষ্ট্রপতি। এর ফলে আগামী ৬ মাসের মধ্যে লোকসভায় এই অর্ডিন্যান্স পাশ করাতে হবে।

এই অর্ডিন্যান্স পাশ হয়ে গেলে ধর্ষণ এবং মহিলাদের প্রতি করা অত্যাচারের শাস্তি আরও কড়া হবে। এর আগে ভার্মা কমিশন যে রিপোর্ট পেশ করে তার মধ্যে থেকে বেশ কয়েকটি প্রস্তাব এই অর্ডিন্যান্সে সামিল করা হয়েছে।

বাংলার মানুষকে এই খবর যথাযথ দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করে নি বিপ্লবী বাংলা মীডিয়া।অপ্রয়োজনীয় বিষয়ে দীর্ঘায়িত বিতর্কে ওস্তাদ বাংলা মীডিয়ায় যে খবর প্রকাশিত হয়েছে, তা হল নন্দীর পক্ষে

মায়াবতী,রামবিলাস পাসওয়ান ও  রাজনীতির কারোবারিরা নন্দীর বিরুদ্ধ গ্রেফতারি পরওয়ানা দাবি করছেন

রাজস্থানের আদিবাসী সাংসদ করোড়ি মল মীণা  তাঁর বিরুদ্ধে থানায় ডায়েরী করেছেন

গ্রেফ্তারি এড়াতে শেষ পর্যন্ত সুপ্রীম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন নন্দী। সুপ্রীম কোর্ট তাঁর আবেদন মন্জুর করেছেন এবং সঙ্গে সঙ্গে সতর্কও করেছেন যে এ মন লাগাম ছাড়া মন্তব্য করার লাইসেন্স তাঁর নেই।এই প্রসঙ্গে বিবাদের দায়ও মাহামাণ্য শীর্ষ আদালত নন্দীর ঘাড়েই চাপিয়েছেন

 বাংলার বহুজন সমাজের কৃতজ্ঞ থাকা উচিত নন্দীর প্রতি।তাঁকে সম্মানিত করা উচিত, তিনি নিজের মন্তব্যের পক্ষে যুক্তি দিয়েছেন যে বাংলায় গত একশো বছরে ওবিসি, এসসি ও এসটির ক্ষমতায়ন হয়নি এবং এজন্যই বাংলায় দুর্নীতি বাকী দেশের তুলনায় নামমাত্র

প্রসঙ্গ যাই হোক, তিনি নিখাদ সত্য উচ্চারণ করেছেন। তাংর এই সত্যনিষ্ঠা প্রশংসনীয়। 

মনে রাখা উচিত গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাংলার বিশিষ্ট নৃতত্ববিদ পশুপতি মাহাতো মহাশয় আনন্দ বাজারের সম্পাদকীয় পদে যথাযথ পরিসংখ্যান দিয়ে একটি লেখা লিখেছিলেন, বাংলায় বামফ্রন্ট নয়, ব্রাহ্মণ্য ফ্রন্টের রাজত্ব। 

সেদিন থেকে আজ অবধি বামপন্থীরা এই মতের খন্ডন করেননি

আমিও বার বার ইংরাজি ও হিন্দীতে সারা দেশে লিখেছি  ও বলেছি

বাংলার কর্তৃত্ব ও শাসকশ্রেণীর সর্বোত্তম রণকৌশল হল উপেক্ষা।বহুজন সমাজ নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে কোনও মতামত না দিয়ে সত্য ধামাচাপা দেওয়া হয়, কিন্তু বিশ্ববিখ্যাত সমাজবিজ্ঞানী নন্দী ত হাটে হাঁড়ি ভেঙ্গে দিয়েছেন

বাংলায় বিতর্ক প্রতিক্রিয়া হোক্ না হোক, সারা দেশ কিন্তু তোলপাড় বাংলার ব্রাহ্মণ্যতান্ত্রিক মনুস্মৃতি কর্তৃত্ব নিয়ে

আজ আবার আনন্দবাজারে এই প্রসঙ্গে কাঞ্চা ইলাইয়ার লেখা ছাপা হয়েছে। 

এখনো কি বাংলার ওবিসি, এসসি ও এসটি ঘুমিয়ে থাকবে?

আমার লেখার প্রত্যুত্তরে গুরুচন্ডালিতে শাসক শ্রেণীর বুদ্ধিজীবিরা দাবি করেছেন যে বাংলায় অর্থনৈতিক উন্নয়নে ওবিসি, এসসি ও এসটি সারা ভারতে, তাংদের ক্ষমতায়নের প্রয়োজন নেই

ক্ষমতায়ন হলেই বাংলায় জাতপাতের রাজনীতি শুরু হয়ে যাবে

আমার লেখার জন্য তাঁরা একযোগে আমায় ধিক্কার জানাচ্ছেন

ভালো কথা, নন্দী যা বলেছেন এবং বাংলার শাসকশ্রেণী যে ্অস্পৃশ্যতা চালূ রেকেছেন হাজার হাজার বছর ধরে ভারতের ওবিসি, এসসি ও এসটির সঙ্গে সংখ্যালঘুদের এই পরিবেশে বেঁচে বর্তে থাকার অভ্যাস আছে

সারা দেশের শাসক শ্রেণী নন্দীর বাক্ স্বাধীনতা নিয়ে সোচ্চার

কেউ কিন্তু নন্দী সাহেবের মতামত খন্ডন করেন নি

আমিও খন্ডন করছি না

 সলমান রুশদি ও তসলিমার বেলায় বাক্ স্বাধীনতা বিঘ্নিত হয়, কিন্তু নন্দীর মতামতে হয় না এই তত্ব না হয় মেনেই নিলাম!

নন্দী সাহেব কিন্তু কোনও পরিসংখ্যান দিয়ে যুক্তি সাজান নি

এই পরিসংখানের জন্য ওবিসির হেড কাউন্ট অতিশয় প্রয়োজনীয় 

এসসি, এসটি ও ওবিসির ঠিক ঠিক জনসংখ্যা কত ,তা মালূম হলে কিন্তু বোঝা যাবে জনসংখ্যার অনুপাতে ওবিসি, এসটি ও এসসির দুর্নীতি কত ভয়বহ

ওবিসি জাতি মন্ডল কমিশন মতে বাংলায় 131 টি।কিন্তু কেন্দ্রে  বামপন্থীরা মন্ডল কমিশন রিপোর্ট লাগু করার জন্য সবচেয়ে সোচ্চার হলেও কমরেড জ্যোতি বসুর মুখ্যমন্ত্রিত্ব কালে বামপন্থীরা সবসময় বলেছেন যে বাংলায় ওবিসি নেই এবং তাংদের সংরক্ষণের প্রশ্নি ওঠে না

শেষ পর্যন্ত বুদ্ধদেব ওবিসির জন্য সাত শতাংশ সংরক্ষণের ঘোষণা করলেন কিন্তু ওবিসি জাতি চিন্হিত করলেন না

জাতি প্রমাণপত্র না পাওয়ার দরুন এই সংরক্ষণে ওবিসিদের কোনো লাভ হয় নি

গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে বুদ্ধবাবূ ওবিসি মুসলমানদের জন্য আলাদা ভাবে দশ শতাংশ সংরক্ষণ চালূ করলেন।সাচ্চার রিপোর্টের ধাক্কায়

কিন্তু সেই সংরক্ষণও চালূ হল না

ইতিমধ্যে পরিবর্তন হয়ে গেল

দিদর মা মাটি মানুষের সরকার বুদ্ধবাবুর সংরক্ষণকে খারিজ করে দিয়ে নিজেরাই মুসলমানদের জন্য বারো শতাংশ সংরক্ষণের আশ্বাসন দিচ্ছেন

কিন্তু ঘটনা হল যে এই রাজ্যে হিন্দু হোক্ বা মুসলমান, ওবিসির জন্য বাস্তবে কোনও সংরক্ষণ নেই

এই জন্য সবার আগে প্রয়োজন মোট কত ওবিসি আছেন বাংলায় ও সারা ভারতে , তা সর্বাগ্রে জানা

সংসদে সর্বদলীয় সর্বানুমতিতে জাতি ভিত্তিক জনগনণার সিধ্ধান্ত হয়, শেষ পর্যন্ত সেটা হেড কাউন্ট না হয়ে আর্থিক সার্ভ হয়ে যায়

 পদোন্নতিতে সংরক্ষণ বিল নিয়ে যা কিছু চলছে, আমরা সবাই জানি।কিন্তু সংখ্যালঘু সরকার গণসংহার নীতি প্রণয়নে সংসদে যা কিছু তাই সর্বদলীয় সম্মতিতে পাশ করিয়ে নিচ্ছে, সে ব্যাপারে কোনো ব্যাতিক্রম হয় না

 এই  ত, ভার্মা কমিশনের রিপোর্টকে ডাস্টবিনে ছুংড়ে ফেলে দিয়ে আফস্পা অর্থাত সশস্ত্র সৈন্যব বিশেষাধিকার আইন বহাল রেখে, সশস্তর বাহিনীকে ধর্ষনের লাইসেন্স দিতে দেশের মহিলা সংগঠনগুলির বিরোধিতা সত্বেও রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি অর্ডিন্যান্স জারি করলেন

 সরকারের ইচ্ছা শক্তি থাকলে সবকিছুই সম্ভব

সরকার জাতি ভিত্তিক জনগণনার বিরুদ্ধে, এটা হলে উন্নয়নের গপ্পো বাতিল হয়ে যাবে।পরিকল্পনা  খাতে জনসংখ্যাঅনুযায়ী বরাদ্দ করতে হবে

তাই বাংলার নন্দীর মন্তব্যকে সমর্থন জানিয়ে বাংলার বহুজনসমাজের উচিত এক্ষুনি জাতি ভিত্তিক জনগণনা ও ওবিসিদের যথাযথ চিন্হিত করার দাবিতে রাস্তায় নামা।তাঁদের রাস্তায় নামা উচিত, কার কতটা উন্নয়ন হল, সেটা জানতে সাচ্চার কমিটির আদলে আরেকটি আয়োগ গঠনের দাবিতে

ধর্ষণ রুখতে কেন্দ্রীয় সরকারের আনা অর্ডিন্যান্সে আজ স্বাক্ষর করলেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি। নারী নির্যাতন রুখতে অর্ডিন্যান্স আনছে কেন্দ্রীয় সরকার। ওই অর্ডিন্যান্সে চরম নির্যাতনের ঘটনায় ফাঁসি অথবা আমৃত্যু কারাদণ্ডের বিধান দেওয়া হয়েছে। এদিকে আজই এক প্রকাশিত এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত তিন বছরে দেশে আটষট্টি হাজারের কাছাকাছি নথিভুক্ত ধর্ষণের ঘটনায় মাত্র ষোলো হাজার অভিযুক্তকে শাস্তি দেওয়া গেছে। বেশির ভাগ কেসই এখন ফাইল বন্দি, না হয় বিচারাধীন। 

গণধর্ষণের ক্ষেত্রে কুড়ি বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। নতুন অর্ডিন্যান্সে বদলে যাচ্ছে ধর্ষণের সংজ্ঞাও। সেখানে একাধিক ধরনের নির্যাতনকে যৌন নিগ্রহের আওতাভুক্ত করা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে অ্যাসিড হামলাও।

এ ছাড়া মহিলাদের পিছু নেওয়া বা অন্য কোনও ভাবে তাঁদের হেনস্থা করাকেও অপরাধের তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

জে এস ভার্মা কমিশনের সুপারিশ খতিয়ে দেখে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা শনিবার এই নতুন আর্ডিন্যান্সে ছাড়পত্র দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে এই বিষয়ে বৈঠক হয়। শনিবারই সিলমোহরের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়। 


নারী নির্যাতন রুখতে অর্ডিন্যান্স আনলেও তাতে স্থান পেল না বৈবাহিক বা সেনাবাহিনী কর্তৃক ধর্ষণ। ভার্মা কমিটি অবশ্য রিপোর্টে এই দুই ক্ষেত্রকেই ধর্ষণ আইনের আওতায় আনার কথা সুপারিশ করেছিল। ভার্মা কমিশনের রিপোর্টে ধর্ষণের শাস্তি হিসাবে মৃত্যুদণ্ডের বিরোধিতা করা হলেও এই অর্ডিন্যান্সে মৃত্যুদণ্ডকেও চরম ক্ষেত্রে ধর্ষণের শাস্তি হিসাবে রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। 

ভারতীয় সেনাবাহিনীর ধর্ষনকেও নতুন আইনের আওতায় আনার সুপারিশ করেছিল ভার্মা কমিশন। তার সঙ্গেই বিয়ের পর স্বামী ধর্ষণ করলে তাকেও শাস্তির আওতায় আনার প্রস্তাব রাখা হয়েছিল এই কমিশনের পক্ষ থেকে। কিন্তু নয়া অর্ডিন্যান্সে এই দুই বিষয়েরই কোন উল্লেখ নেই।

শুক্রবার নারী নির্যাতন রুখতে নয়া অর্ডিন্যান্স আনল কেন্দ্রীয় সরকার। ওই অর্ডিন্যান্সে চরম নির্যাতনের ঘটনায় ফাঁসি অথবা আমৃত্যু কারাদণ্ডের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। গণধর্ষণের ক্ষেত্রে ২০ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। নতুন অর্ডিন্যান্সে ধর্ষণের সংজ্ঞা বদলে, একাধিক ধরনের নির্যাতনকে যৌন নিগ্রহের আওতাভুক্ত করা হয়েছে। জে এস ভার্মা কমিশনের সুপারিশ খতিয়ে দেখে শুক্রবারই এই নতুন আর্ডিন্যান্সে ছাড়পত্র দিয়েছে ক্যাবিনেট।

দিল্লি গণধর্ষণকাণ্ডের পর মহিলাদের ওপর যৌন নিগ্রহের ঘটনায় কঠোরতম শাস্তির দাবি ওঠে দেশজুড়ে। এর জেরেই যৌন নির্যাতনের ক্ষেত্রে শাস্তি নিয়ে আইন সংশোধনের ব্যাপারে উদ্যোগী হয় কেন্দ্র। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে প্রাক্তন বিচারপতি জে এস ভার্মার নেতৃত্বে কমিটি গঠন করা হয়। উনত্রিশ দিনের মাথায়, গত ২৩ জানুয়ারি সেই রিপোর্ট স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের হাতে তুলে দেয় বিচারপতি জে এস ভার্মার নেতৃত্বাধীন কমিটি।  রিপোর্টে মহিলাদের ওপর নিগ্রহের ঘটনায় বেশ কিছু আইন সংশোধনের সুপারিশ করে করা হয়েছে। সেই সুপারিশ কার্যকর করতে এবার অর্ডিন্যান্স জারি করল কেন্দ্রীয় সরকার।

নারী নির্যাতনের ক্ষেত্রে ধর্ষণের সঙ্গেই একাধিক ধরনের নির্যাতনকে যৌন নিগ্রহের আওতাভুক্ত করা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে অ্যাসিড হামলাও। এছাড়া মহিলাদের পিছু নেওয়া, অশালীন ইঙ্গিত, শ্লীলতাহানি বা অন্য কোনও ভাবে তাঁদের হেনস্থা করাকেও অপরাধের তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। ভার্মা কমিশনের সুপারিশ খতিয়ে দেখে এই নতুন আর্ডিন্যান্সে ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে বৈঠকে এই  সিদ্ধান্ত নেওয়া  হয়। নতুন অর্ডিন্যান্সে সিলমোহরের জন্য তা রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো 
হয়।

তবে দিল্লি গণধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষণের ক্ষেত্রে সাবালকত্বের বয়সসীমা ১৮ থেকে কমিয়ে ১৬ করার দাবি উঠেছিল বিভিন্ন মহল থেকে। তবে এবিষয়ে রিপোর্টে কোনও সুপারিশ করেনি ভার্মা কমিশন। 



দুর্নীতির বর্ণাশ্রম?
দূরবর্তী? ভীমরাও অম্বেডকরের জন্মদিনে। অন্ডাল, পশ্চিমবঙ্গ, ২০০৯
এখন আশিস নন্দী, বেশ হেয় করার সুরেই, বলছেন যে, বাংলা একশো বছর ধরে অনেকটা দুর্নীতিমুক্ত ছিল ও আছে, কারণ সেখানে এসসি, এসটি, ওবিসিরা সরকারি কাঠামোয় জায়গা পায়নি। তিনি এবং তাঁর মতো ভদ্রলোক পণ্ডিতরা যে রাজ্য থেকে এসেছেন সেখানে রাষ্ট্রশক্তির সদর দফতরের নাম 'রাইটার্স বিল্ডিং'। তথাকথিত সাবঅল্টার্নরা যাতে সেখানে ক্ষমতার অংশী হতে পারে, সে জন্য তাঁরা তাঁদের লেখালিখিতে কতটা সত্যিকারের চেষ্টা করেছেন? কমিউনিজম এবং সেকুলারিজমের ছদ্মবেশে জাতপাতের যে প্রতিপত্তি বাংলায় চলে, তা নিয়ে তাঁদের বিস্তর লেখা উচিত ছিল। এবং আশিস নন্দীর এই ভাবে বাঙালি বিদ্যাজীবীদের এ কথা বলার দরকার ছিল না যে, 'ওবিসি, এসসি, এসটি'রা সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত' আর বাঙালি ভদ্রলোকরা 'সবচেয়ে কম দুর্নীতিপরায়ণ', এবং ওবিসি, এসসি, এসটি'রা ক্ষমতার বলয়ে ঢুকলে সর্বাধিক দুর্নীতিগ্রস্তদের সঙ্গে সবচেয়ে কম দুর্নীতিপরায়ণদের মিলনের সম্ভাবনা দেখা দিত। এটা কোদালকে কোদাল বলা নয়। এটা হল, কোদালকে কুকুর বলা।
নব্বইয়ের দশকে মণ্ডল আন্দোলনের পরে অম্বেডকর গোটা ভারতে বন্দিত হয়েছেন, কেবল পূর্ব ভারতে, বিশেষত পশ্চিমবঙ্গ, অসম এবং ওড়িশা ছাড়া। পশ্চিমবঙ্গে এখনও উচ্চবর্ণ বাঙালি ভদ্রলোকের আধিপত্য। তাঁদের ভুবনে এখনও বঙ্কিমচন্দ্র, রবীন্দ্রনাথ, রামকৃষ্ণ, বিবেকানন্দের জয়জয়কার। হ্যাঁ, গাঁধী এবং নেহরুকেও তাঁরা মান্য করেন। কিন্তু চিন্তানায়ক হিসাবে অম্বেডকর তাঁদের কাছে অচ্ছুত। অথচ তিনি যখন কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছিলেন, তখন ক'জন বঙ্গসন্তান সেখানে পিএইচ ডি করেছেন, তা-ও আবার অর্থনীতিতে? অম্বেডকর তাঁর সময়ের বহু বাঙালি বিদ্বজ্জনের চেয়ে বড় পণ্ডিত ছিলেন, বাঙালি বিদ্যাজীবীরা তবু তাঁকে অচ্ছুত করে রাখলেন কেন? কী বাংলায়, কী ইংরেজিতে, কোনও ভাষাতেই বাঙালি তাঁকে নিয়ে চর্চা করল না; এবং পশ্চিমবঙ্গে ওবিসি, এসসি, এসটি'রা ক্ষমতার বলয়ে ঢুকতে পারল না এই দুটি ঘটনার কি কোনও অন্তর্নিহিত সম্পর্ক নেই?
আর উচ্চবর্ণ 'সবচেয়ে কম দুর্নীতিগ্রস্ত' কেন? সেটা কি এই কারণে যে, তাঁরা একটা সম্পূর্ণ ভিন্ন জগতে বাস করেন, যে জগৎটা ওবিসি বা এসসি এসটি'দের জগতের সম্পূর্ণ বিপরীত। প্রাচীন ভারতে যাঁরা খাদ্য উৎপাদন করতেন, তাঁদের শূদ্র বা চণ্ডাল বলা হত। যাঁরা উৎপন্ন পণ্য ভোগ করতেন, তাঁদের বলা হত ব্রাহ্মণ (ভূদেবতা)। কালক্রমে তাঁরা নানা নামে সম্মানিত হন। যেমন, বম্বে প্রদেশে ব্রাহ্মণদের উপাধি বা পদবি হল পণ্ডিত, দেশমুখ, সরদেশাই, দেশপাণ্ডে, ইত্যাদি। ব্রিটিশ আমলে শূদ্র এবং চণ্ডালদের অনেক অংশকে 'ক্রিমিনাল' অর্থাৎ স্বভাবত অপরাধপ্রবণ বলে চিহ্নিত করা হয়েছিল। এখন আবার তাঁদের এক গোত্রে ফেলে 'সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত' আখ্যা দেওয়া হচ্ছে!
আশিস নন্দী একটা ভাল কাজ করেছেন। ভদ্রলোকের আলোচনাসভায় তিনি জাতপাতের প্রশ্নটাকে এনে দিয়েছেন। আর্থিক, সামাজিক এবং চেতনাগত দুর্নীতির ক্ষেত্রে কোন জাত বা সম্প্রদায়ের দায় কতখানি, সেই বিতর্কটা শুরু হয়েছে। অনেকে অবশ্য সেই বিতর্কে যেতে চাইছেন না, আশিসবাবুর বিরুদ্ধে যে মামলা হয়েছে সেটা নিয়েই তাঁদের মাথাব্যথা। দলিত-বহুজন সমাজের বিদ্যাজীবীদের দায়িত্ব এই মামলার বিরোধিতা করা এবং জাতপাত ও দুর্নীতির পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে বিতর্কে যোগ দেওয়া। আমরা যদি এই বিতর্কটা চালিয়ে যেতে পারি, অনেক জঞ্জাল বেরিয়ে আসবে।
হিন্দু সমাজের থাকবন্দি কাঠামোটা দানা বাঁধার পর থেকে এই বিষয়ে একটা সত্যিকারের বিতর্ক কখনও হয়নি। তার কারণ, বিদ্যাজীবীরা বরাবর এসেছেন ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় এবং বৈশ্য, এই তিন বর্গ থেকে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কিছু কিছু তারতম্য দেখা গেছে বটে, কিন্তু জাতপাতের সামগ্রিক ছবিটা মোটের ওপর একই। আমার 'পোস্ট-হিন্দু ইন্ডিয়া' বইতে আমি যাকে 'সামাজিক চোরাচালান' (সোশাল স্মাগ্লিং) বলেছি, সেই বাণিজ্য এবং নিয়ন্ত্রণের দ্বৈত কৌশলে কারা জাতীয় সম্পদকে নিয়ন্ত্রণে রেখেছে? আজেবাজে মামলা করে আমাদের ঐতিহাসিক সমস্যাগুলির সমাধান করা যাবে না।

হায়দরাবাদে মৌলানা আজাদ ন্যাশনাল উর্দু ইউনিভার্সিটি'র সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অব সোশাল এক্সক্লুশন
অ্যান্ড ইনক্লুসিভ পলিসি-র অধিকর্তা; 'হোয়াই আই অ্যাম নট আ হিন্দু' এবং 'আনটাচেব্ল গড' গ্রন্থের লেখক। 

http://www.anandabazar.com/3edit2.html


পঞ্চায়েতে ওবিসি সংরক্ষণে অর্ডিন্যান্স

No comments:

Post a Comment

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...

Census 2010

Welcome

Website counter

Followers

Blog Archive

Contributors