Thursday, August 22, 2013

'জয়ের' ২৫ বছরেও অন্তরালে ঘিসিং

'জয়ের' ২৫ বছরেও অন্তরালে ঘিসিং

'জয়ের' ২৫ বছরেও অন্তরালে ঘিসিং
১৯৮৮ সালের ২২ জুন রাজভবনে ডিজিএইচসি চুক্তি সাক্ষর করার সময় সুবাস ঘিসিং, বুটা সিং ও জ্যোতি বসু। -- ফাইল চিত্র
সঞ্জয় চক্রবর্তী

শিলিগুড়ি: 
পৃথক গোর্খাল্যান্ড রাজ্য হবে কি না, তার উত্তর দেবে সময়৷ কিন্ত্ত আজ থেকে পঁচিশ বছর আগে সুবাস ঘিসিংয়ের হাত ধরে পাহাড়ে নতুন যুগের সূচনা হয়েছিল৷ তৈরি হয়েছিল দার্জিলিং গোর্খা হিল কাউন্সিল (ডিজিএইচসি)৷ যদিও তার এখন আর কোনও অস্তিত্ব নেই৷ ঘিসিংও পাহাড়ছাড়া অনেক দিন৷ একদা পাহাড় সম্রাটের বর্তমান আস্তানা শিলিগুড়ির মাটিগাড়ায়৷ ঘিসিং ক্ষমতায় থাকলে বুধবার ডিজিএইচসি-র পঁচিশ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান নিশ্চই ঘটা করে পালন করা হত পাহাড়ে৷ এ দিন মাটিগাড়ায় ভাড়া বাড়ির তিনতলায় নিজের মতো করেই দিনটি কাটিয়ে দিলেন ঘিসিং৷ ধারেকাছেও ঘেঁষতে দিলেন না সংবাদমাধ্যমকে৷ তাঁর ব্যক্তিগত সচিব মণি গুরুং জানিয়ে দিলেন, জিএনএলফ সুপ্রিমোর সঙ্গে দেখা করা সম্ভব নয়৷

পাহাড়ের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে কী মূল্যায়ন ঘিসিংয়ের?
মণির কথায়, 'ডিজিএইচসি ছিল সংবিধান স্বীকৃত একটি সংস্থা৷ কিন্ত্ত জিটিএ একটি চুক্তি মাত্র৷ সেই চুক্তির বিরোধিতা করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা ঠুকেছেন ঘিসিং৷ আপাতত আদালতের রায়ের দিকেই তাকিয়ে আছেন তিনি৷' ঘটনা হল, পাহাড়ের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করতে চান না ঘিসিং৷ কারণ, তিনি মনে করেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে পাহাড়ের জিএনএলফ কর্মীদের নিরাপত্তা দেওয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়৷ তাই তাঁর মন্তব্যের জেরে মোর্চা কর্মীরা আক্রমণ করতে পারেন জিএনএলএফ কর্মীদের উপর৷ বহু বছর ধরেই পৃথক রাজ্যের দাবিতে সোচ্চার পাহাড়ের মানুষ৷ আটের দশকে ঘিসিংয়ের নেতৃত্বে এই আন্দোলন চরমে ওঠে৷ রাজনৈতিক সংঘর্ষে মৃত্যু হয় প্রায় ১২০০ মানুষের৷ পরে তত্‍কালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর তত্‍পরতায় ঘিসিং, মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু এবং তত্‍কালীন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বুটা সিংয়ের মধ্যে চুক্তি হয়৷ গড়ে ওঠে ডিজিএইচসি, যার হাত ধরে পাহাড়ের মানুষ প্রথমবার স্বশাসনের স্বাদ পেয়েছিল৷

No comments:

Post a Comment

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...

Census 2010

Welcome

Website counter

Followers

Blog Archive

Contributors