Saturday, November 9, 2013

আত্মহত্যা নয় জিয়া খান খুন হয়েছিলেন, ইঙ্গিত সাম্প্রতিক ফরেনসিক রিপোর্টে। আঙুলে মিলল মানুষের মাংস, অন্তর্বাসে মিলল রক্ত

আত্মহত্যা নয় জিয়া খান খুন হয়েছিলেন, ইঙ্গিত সাম্প্রতিক ফরেনসিক রিপোর্টে। আঙুলে মিলল মানুষের মাংস, অন্তর্বাসে মিলল রক্ত



কালিনা ফরেনসিক ল্যাবটরির রিপোর্ট অনুযায়ী জিয়ার আঙুলের নিচে মানুষের মাংস ও রক্তের দাগ মিলেছে। সঙ্গে জিয়ার অন্তর্বাসেও রক্তের দাগ মিলেছে। এটা থেকে অনেকটাই পরিষ্কার আত্মহত্যা নয়, তাঁকে খুন করা হয়েছে। নতুন করে তদন্ত শুরুর দাবি উঠছে।

সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গিয়েছিল, সেদিন ঘটনার কিছুক্ষণ আগেই বাড়িতে ঢোকেন জিয়া৷ সেই সময় একটি ট্র্যাকশ্যুট পরেছিলেন গজনি, নিশব্দ-এর মত সিনেমায় অভিনয় করা এই অভিনেত্রী৷

কিন্ত দেহ উদ্ধারের সময় দেখা গিয়েছে, নাইট গাউন পরেছিলেন জিয়া৷ জিয়ার মা রাবিয়ার প্রশ্ন ছিল মৃত্যুর আগে কেউ কি পোশাক পরিবর্তন করে ? সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছিল জিয়ার দেহ৷

জিয়ার মায়ের প্রশ্ন ছিল ফ্যানের যা উচ্চতা, তাতে জিয়ার পক্ষে তা ছোঁয়া সম্ভব নয়৷ অভিনেত্রীর মায়ের দাবি, বাড়িতে টুল জাতীয় কোনও উঁচু জিনিস ছিল না৷ তাহলে কী করে ফ্যানের নাগাল পেলেন জিয়া ? গোটা ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে জিয়ার পরিবার৷ মায়ের অভিযোগ ছিল, গোটা ঘটনার নেপথ্যে রয়েছেন জিয়ার বন্ধু সুরজ পাঞ্চোলিই৷

আদিত্য পাঞ্চালির ছেলে সুরজ পাঞ্চোলিকে দোষি সাব্যস্ত করে জিয়া খানের সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছিল। অবশ্য পরে সেই সুইসাইড নোটের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। 


মূল অভিযুক্ত সুরজ পাঞ্চোলি গ্রেফতার হন ১০ জুন। পরে পয়লা জুলাই হাইকোর্টের জামিনে মুক্তি পান সুরজ। 

No comments:

Post a Comment

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...

Census 2010

Welcome

Website counter

Followers

Blog Archive

Contributors