নয়াদিল্লি: দেশের বাজারে ডিজেলের দাম ধীরে ধীরে বাড়িয়ে ২০১৫ সালের মাঝামাঝি আন্তর্জাতিক বাজারের সমান করা হবে৷ বৃহস্পতিবার এ কথা জানান যোজনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান মন্টেক সিং আলুওয়ালিয়া৷
আলুওয়ালিয়া বলেন, 'নিকট ভবিষ্যতে ডিজেলের দামে ভর্তুকি আস্তে আস্তে কমিয়ে আনা হবে যাতে ২০১৫ সালের মাঝামাঝি ডিজেলে বেচে তেল সংস্থাগুলির আর কোনও 'আন্ডার রিকভারি' না থাকে৷' আন্তর্জাতিক দামের তুলনায় কম দামে দেশের বাজারে ডিজেল বিক্রি করে তেল সংস্থাগুলির যে পরিমাণ লাভ করার থেকে বঞ্চিত হয় সেই টাকার অঙ্ককেই বলে 'আন্ডার রিকভারি'৷
আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় বর্তমানে ডিজেল, এলপিজি, কয়লা ও প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম অনেকটাই কম এ দেশে৷ 'এই জ্বালানি সামগ্রীগুলি 'আন্ডার প্রাইসড'৷ তবে ২০১৫ সালের মাঝামাঝি ডিজেলের আন্ডার প্রাইসিং মুছে ফেলা হবে৷ ধীরে ধীরে ডিজেল খাতে ভর্তুকি কমানো হবে ও ডিজেলের দাম বাড়ানো হবে,' আলুওয়ালিয়া বলেন৷
সম্প্রতি, ডিজেলে আংশিক বিনিয়ন্ত্রণে অনুমতি দিয়েছে সরকার৷ যার ফলে জানুয়ারি মাসেই ডিজেলের লিটার প্রতি দাম ৪০ থেকে ৫০ পয়সা বাড়িয়ে দিয়েছে তেল বিপণন সংস্থাগুলি৷ বর্তমানে, লিটার প্রতি ডিজেলে 'আন্ডার রিকভারি' থাকে ১০ টাকা৷ লিটার প্রতি ৫০ পয়সা বাড়ালে সেই লোকসান কিছুটা পূরণ করা যায়৷
আলুওয়ালিয়া বলেন, ধনী রাষ্ট্রগুলি জ্বালানি খাতে ভর্তুকি খরচ বহন করতে পারে৷ কারণ, জ্বালানি খাতে ভর্তুকি দিলে তাদের আয় কমে যাবে না৷ গরিব দেশগুলির পক্ষে এটা করা সম্ভব নয়৷ যে সব রাষ্ট্র নিজেদের ধনী গোষ্ঠীতে আনতে চায় সারাজীবন এই ভর্তুকি বোঝা টানতে পারবে না৷
তবে, আলুওয়ালিয়া এটাও জানিয়েছেন রাজনৈতিক দিক থেকে ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণ বোঝানোটা কঠিন৷ অর্থনীতির যুক্তিতেই একমাত্র এর উত্তর পাওয়া যাবে৷ তবে আগামী দিনে ডিজেল, কয়লা ও রান্নার সিলিন্ডার যে মহার্ঘ হবে তা যোজনা কমিশনের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট৷ এখানে এনার্জি কংগ্রেসের সম্মেলনে আলুওয়ালিয়া বলেন, শক্তি সম্পর্কে কথা বললেই কয়লা, গ্যাস, বিদ্যুত্ সব কিছুর কথাই বলতে হবে৷ যথেষ্ট পরিমাণ শক্তি না থাকলে দেশে শক্তির চাহিদা মেটানো অসম্ভব৷ মনে রাখতে হবে, শক্তি সম্পদ কিন্ত্ত অপ্রতুল৷ তাই, দেশে শক্তির চাহিদা মেটাতে পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তির উপর নির্ভর করতেই হবে৷ পাশাপাশি, বিকল্প জ্বালানির উত্সের কথাও ভাবতে হবে যেমন, শেল গ্যাস৷ শেল গ্যাস এক ধরনের প্রাকৃতিক গ্যাস৷ আমেরিকা ও চিন বিকল্প জ্বালানি হিসেবে এই শেল গ্যাস ব্যবহার করার কথা ভাবছে৷ ভারত সরকারও শেল গ্যাসের ব্যবহার চালু করার কথা ভেবেছিল৷ কিন্ত্ত প্রাথমিক পর্যায়ে শেল গ্যাসের পরীক্ষা-নিরিক্ষা নিয়ে সরকার সন্ত্তষ্ট নয়৷ আলুওয়ালিয়া জানান, সৌর ও বায়ু শক্তির ব্যবহার নিয়েও চিন্তার ভাবনা করছে সরকার৷
আলুওয়ালিয়া বলেন, 'নিকট ভবিষ্যতে ডিজেলের দামে ভর্তুকি আস্তে আস্তে কমিয়ে আনা হবে যাতে ২০১৫ সালের মাঝামাঝি ডিজেলে বেচে তেল সংস্থাগুলির আর কোনও 'আন্ডার রিকভারি' না থাকে৷' আন্তর্জাতিক দামের তুলনায় কম দামে দেশের বাজারে ডিজেল বিক্রি করে তেল সংস্থাগুলির যে পরিমাণ লাভ করার থেকে বঞ্চিত হয় সেই টাকার অঙ্ককেই বলে 'আন্ডার রিকভারি'৷
আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় বর্তমানে ডিজেল, এলপিজি, কয়লা ও প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম অনেকটাই কম এ দেশে৷ 'এই জ্বালানি সামগ্রীগুলি 'আন্ডার প্রাইসড'৷ তবে ২০১৫ সালের মাঝামাঝি ডিজেলের আন্ডার প্রাইসিং মুছে ফেলা হবে৷ ধীরে ধীরে ডিজেল খাতে ভর্তুকি কমানো হবে ও ডিজেলের দাম বাড়ানো হবে,' আলুওয়ালিয়া বলেন৷
সম্প্রতি, ডিজেলে আংশিক বিনিয়ন্ত্রণে অনুমতি দিয়েছে সরকার৷ যার ফলে জানুয়ারি মাসেই ডিজেলের লিটার প্রতি দাম ৪০ থেকে ৫০ পয়সা বাড়িয়ে দিয়েছে তেল বিপণন সংস্থাগুলি৷ বর্তমানে, লিটার প্রতি ডিজেলে 'আন্ডার রিকভারি' থাকে ১০ টাকা৷ লিটার প্রতি ৫০ পয়সা বাড়ালে সেই লোকসান কিছুটা পূরণ করা যায়৷
আলুওয়ালিয়া বলেন, ধনী রাষ্ট্রগুলি জ্বালানি খাতে ভর্তুকি খরচ বহন করতে পারে৷ কারণ, জ্বালানি খাতে ভর্তুকি দিলে তাদের আয় কমে যাবে না৷ গরিব দেশগুলির পক্ষে এটা করা সম্ভব নয়৷ যে সব রাষ্ট্র নিজেদের ধনী গোষ্ঠীতে আনতে চায় সারাজীবন এই ভর্তুকি বোঝা টানতে পারবে না৷
তবে, আলুওয়ালিয়া এটাও জানিয়েছেন রাজনৈতিক দিক থেকে ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণ বোঝানোটা কঠিন৷ অর্থনীতির যুক্তিতেই একমাত্র এর উত্তর পাওয়া যাবে৷ তবে আগামী দিনে ডিজেল, কয়লা ও রান্নার সিলিন্ডার যে মহার্ঘ হবে তা যোজনা কমিশনের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট৷ এখানে এনার্জি কংগ্রেসের সম্মেলনে আলুওয়ালিয়া বলেন, শক্তি সম্পর্কে কথা বললেই কয়লা, গ্যাস, বিদ্যুত্ সব কিছুর কথাই বলতে হবে৷ যথেষ্ট পরিমাণ শক্তি না থাকলে দেশে শক্তির চাহিদা মেটানো অসম্ভব৷ মনে রাখতে হবে, শক্তি সম্পদ কিন্ত্ত অপ্রতুল৷ তাই, দেশে শক্তির চাহিদা মেটাতে পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তির উপর নির্ভর করতেই হবে৷ পাশাপাশি, বিকল্প জ্বালানির উত্সের কথাও ভাবতে হবে যেমন, শেল গ্যাস৷ শেল গ্যাস এক ধরনের প্রাকৃতিক গ্যাস৷ আমেরিকা ও চিন বিকল্প জ্বালানি হিসেবে এই শেল গ্যাস ব্যবহার করার কথা ভাবছে৷ ভারত সরকারও শেল গ্যাসের ব্যবহার চালু করার কথা ভেবেছিল৷ কিন্ত্ত প্রাথমিক পর্যায়ে শেল গ্যাসের পরীক্ষা-নিরিক্ষা নিয়ে সরকার সন্ত্তষ্ট নয়৷ আলুওয়ালিয়া জানান, সৌর ও বায়ু শক্তির ব্যবহার নিয়েও চিন্তার ভাবনা করছে সরকার৷
No comments:
Post a Comment