Thursday, October 17, 2013

জয় জয় জয় হো মা কালী জয় জয় জয় হো মা মাটি মানুষের সরকার

জয় জয় জয় হো মা কালী

জয় জয় জয় হো মা

মাটি মানুষের সরকার


পলাশ বিশ্বাস


পিলিনের মার এখন টের পাচ্ছে

উত্সব মাতোযারা বাঙালি,বাজার আগুন


এই সময়: সদ্য কৈলাসে ফিরেছেন উমা৷ পঞ্জিকা খুললেই চোখে পড়ছে দেবীর গজে গমন এবং তার ফল শস্যপূর্ণা বসুন্ধরা৷ কিন্ত্ত এ রাজ্যের ছবি দেখলে সে কথা বোঝার উপায় নেই৷ ঘূর্ণিঝড় এবং বন্যার জেরে আগুন লেগেছে সবজির বাজারে৷ আর পড়শি অন্ধ্রপ্রদেশে তেলেঙ্গানা নিয়ে বিক্ষোভ এবং তার পর পিলিনের দাপটে অষ্টমী থেকেই কলকাতার বাজারে বন্ধ হয়ে গিয়েছে মাছের চালান৷ ফলে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর আগের দিন দুর্ভোগের শেষ নেই মানুষের৷ আগামী দু'তিন দিনে এই দাম কমার সম্ভাবনাও ক্ষীণ৷



এখন টের পাচ্ছে পিলিনের মার

উত্সব মাতোযারা বাঙালি,বাজার আগুন

পাতে মাছ পড়ছে না মনের মত

সব্জিও বাড়ন্ত

খাদ্য সঙ্কট যদিও

অনুপস্থিত


দেশ কল্যাণের  জন্য

আমাদের দিদি বিয়ে করেন নি

তাতে কি, মায়ের জাতি ত

বাঙালির মন জয়

করতে হলে রান্নাঘরই

একমাত্র অবলম্বন


টিভিতে রচনা বন্দোপাধ্যায়ের

দিদি নাম্বার ওয়ানের সঙ্গে

জনপ্রিয়তায় সমান

অগ্নিদেব গৃহিনী

সুদীপার রান্নাঘর


ক্ষমতায় আসার পর

এই তত্বটি দিদি

যথেষ্ট কার্যকারিতার সঙ্গে

রাজকার্যে ব্যবহার করছেন


বিক্ষোভ সামলাতে

ঈলিশ সহ ক্ষতিপূরণ

সঙ্গে চাকরির মোক্ষম টোপ

কামদুনি ফিরে

এল কামদুনিতে


টিভি চ্যানেল

বিপ্লব সামলাতে

দিদির মেনুতে

ঠিক কি কি ছিল

জনগণের

জানার কথা নয়


চ্যানেলে সেই অ্যান্কর

সেই স্টুডিও

প্যানেলও

হের ফের হয়নি মোটেই

শুধু নেগেটিভ গুলি

ভোজবাজির মত

হঠাত পোজিটিভ

হয়ে গেল



সেই কবে

মনন্তবর হয়েছিল

কবে হয়েছিল

খাদ্য আন্দোলন

বাঙালির মনে নেই

আধুনিক ইতিহাসই

বাঙালির

অতি সুপ্রাচীন

জাতিসত্বাবোধ

সাম্প্রতিক ইতিহাস

নিয়ে যাবতীয় মস্তানি

খবরের কাগজ

মুখস্ত করে রকবাজি

বাসে ট্রেনে

চায়ের দোকানে

পার্টিবদ্ধ ধুন্ধুমার


ধরে ধরে রীতিমত

খাদ্য সরবরাহ

পাড়ায় পাড়ায়

বিরিয়ানি বাহার

সিপিএম

শাসন করেছে

শাসনে দখলকরেছে

টানা ফতে করেছে

কেল্লা পয়ত্রিশ বছর

এক পাতে ভোজের

আয়োজন করেনি কখনো


হয়ত এই কারণেই

পতন হলো

ভেবে দেখতে পারেন

কমরেড করাত,ইয়েচুরি

একবার ভেবেই

দেখুন না

শুধু শুধু আন্দোলন

করবেন না

আন্দোলন যা করার

দিদিই করবেন

আপনারা শুধু

হেই জোরসে

শ্লোগান দেবেন



দিদি কিন্তু যখন তখন

বাজারে হাজির

কত করে দাম হবে

বেঁধেছেন বার বার

বিপর্যয়ে বিঘ্ন হয়নি

উত্সবে এতটুকু

মা কালীর কাছে

দুর্গার নালিশ

নরেন্দ্র মোদিও

ভাবেনি কখনো

নির্ঘাত বলা যায়


পিলিন এসেছে

আবার পিলিন গিয়েছে

পরোয়া করেননি দিদি

রীতিমত চন্ডীপাঠে

পিলিন কাত

কানঘেঁষে চলে

গেল উত্পাত

বাদা বনে আয়লার

মতো ঘটেনি কুছুই

শুধু শিল্পান্চলে

বর্ধমানে হল ঘুর্নিঝড়


বন্যা পরিস্থিতির জন্য

মা কীলী দায়ী নয়

এতটুকু, ঝাড়খন্ড থেকে

বার বার এতবার

নিষেধ সত্বেও জল ছাড়া

যদি হয় মা কালীর কি

করার আছে

অসুর মহিষাসুর

ঝারখন্ডীদের কারসাজি


দেখতে হয়, জেলায় যাই

ঘটে যাক্, ঘটতে থাকুক

আসল নাগরিক

সুশীল সমাজ

কলকাতাতেই

কলকাতা আছে

বরং কলকাতাতেই

কখনো সখনো জল জমে

এখনো, নিকাশি নেই

কি করা যাবে

ত্রিফলা আলোয়

জল ছবি ভালো

দেখা যায়


জনগণের চোখে

এখন মায়াকাজল

কলকাতা জলে

টাইটুম্বুর গা সওয়া

আবর্জনার পাহাড়

কুছ পরোয়া নয়

বিপ্লব বেঁচে থাক


জেলায় জল হল ত

কি হল, বিসর্জন

শেষ না হতেই

দিদি জেলায় জেলায়

চালচুলো থাক না থাক

ত্রাণ শিবির আছে

ক্ষতি পূরণ আছে


নবান্নে এখনো হয়নি কাজ

কর্মচারিরা আমলারা

বহাল তবিয়ত

দিদি জেগে আছেন

সরকার ঘুমিয়ে আছে

প্রশাসন ঘুমিয়ে আছে

এখনো উত্সব বাকী আছে


বিপর্যয় মোকাবিলার কি

আছে আবার

ওডীশা অন্ধ্রে

পিলিন লাইন থেকে

বেমতলব সরানো হল

লাখো লাখো মানুষ

তাতে কি হল

সাইক্লোনে মরেনি যারা

তারা বন্যা কবলিত


গ্রাম বাংলায় বন্যা

তাতে কি হল

দিদি আছেন

দেখবেন দিদি

আয়লার ক্ষতিগ্রস্ত

বাঁধ সারেনি এখনো

জমি নিয়ে দঙ্গল

তবু ত মা কালির

কল্যাণে শুধু

আলতো ভাবে

হিঙ্গলগন্জে

এসিছিল ঝড়


মা কালিকে স্মরণ করলে

রাজকীয় ধর্ম হলে

হয়ত ওডীশাতে

অন্ধ্রতে টাচই করত না

পিলিন,যেমন বাংলা

টাচই করল না পিলিন

জয় জয় জয় হো মা কালী

জয় জয় জয় হো মা

মাটি মানুষের সরকার


মুশকিল হল

বাজারে লেগেছে

আগুন,দমকল

দিয়ে থামানো

মুশকিল

জোগানে পড়েছে

টান, চাঁদার জুলুম ও

শোনা যায়

দোকানি ধমকে

কি হবে বলুন

বাজারে আসছে না

চাষিরা ইদানিং

জিজ্ঞেস করার

আগেই কৈফিয়েত

সব জলে ডূবে গেছে



বুধবার ঈদের দিন মেয়ের জন্মদিনের বাজার করতে বেরিয়েছিলেন যাদবপুরের বিজয়কৃষ্ণ জোয়ারদার৷ যাদবপুর বাজারে ৭০ টাকা বেগুন, ছোট ফুলকপি ৫০ টাকা, ক্যাপসিকাম ১১০ টাকা, আদা ২০০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, লাল পেয়াঁজ ৮০ টাকা, চন্দ্রমুখী আলু ১৮ টাকা এবং টম্যাটোর দর ৫০ টাকা শুনে আর থাকতে পারলেন না তিনি৷ দোকানির দিকে তেড়ে যেতে গিয়ে আক্ষেপের সুরে জানালেন, 'ভেবেছিলাম একটু পাঁঠার মাংস কিনব৷ তার দরও ৪০০ টাকার নীচে নেই৷ শুধু আজকের বাজার করতে গেলে কম করে ৭০০ টাকা চাই আমার৷' অন্য সবজির দামও আকাশছোঁয়া৷ বিন ২০০ টাকা কেজি, শিম ১০০ টাকার উপর, পেঁয়াজ এখনও সেই ৬০-৮০র ঘরে৷


দেখা যাচ্ছে, বড্ড বেয়াডা় গাইছে এই সময়, নিশ্চয়ই কেন্দ্রের ষড়যন্ত্র


শিয়ালদহের পাইকারি বাজার কোলে মার্কেটে প্রতিদিন এক কোটি টাকার বেশি কাঁচা সবজি কেনাবেচা হয়৷ এই বাজারে শেষ সবজি বোঝাই লরি এসেছিল মঙ্গলবার৷ বুধবার বিকেল পর্যন্ত নতুন কোনও চালান আসেনি৷ বাজারের জনসংযোগ আধিকারিক কমল দে অবশ্য জানান, 'সন্ধের পর থেকে লরি ঢুকতে আরম্ভ করেছে৷' কিন্ত্ত, বাজারে মাল ঢুকলেও জোগান অনেক কম বলে জানিয়েছেন কোলে মার্কেটের ক্যাশিয়ার আশিস দত্ত৷ তিনি বলেন, 'অবস্থা সামাল দিতে আরও দু'তিন দিন লেগে যাবে৷' তিনিই জানালেন, 'ঝাড়খণ্ড, ওডিশা থেকে কাঁচা আনাজ আসছে না বলেই এই অবস্থা৷ আরও দিন দুয়েক এই অবস্থা চলবে৷' মানিকতলা বাজারের সবজির দায়িত্বে থাকা কার্তিক সাহাও জানালেন, 'দুর্যোগের জেরে সরবরাহে টান৷ বাজারে আকাল থাকলে দাম তো বাড়বেই৷'


হাওড়া ও কলকাতার মাছের চাহিদা মেটাতে অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওডিশার মাছই অন্যতম ভরসা৷ কিন্ত্ত পিলিনের জেরে অন্ধ্র ও ওডিশা থেকে মাছ আমদানি বন্ধ৷ ফলে একলাফে কলকাতা ও হাওড়ায় মাছের দৈনিক সরবরাহ প্রায় ২৭০ টন কমে গিয়েছে৷ হাওড়া ছাড়াও শিয়ালদহ, মানিকতলা ও পাতিপুকুরের পাইকারি বাজারে অন্ধ্র ও ওডিশা থেকে মাছ আসে৷ এর মধ্যে পুজোর আগে শুধু হাওড়াতেই রোজ গড়ে আসত ১০০ টনের বেশি মাছ৷ পিলিনের জন্য অষ্টমী থেকে হাওড়ার মাছ বাজারে আমদানি বন্ধ৷ হাওড়া হোলসেল ফিশ মার্কেট কোঅপারেটিভ সোসাইটির সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ বলেন, 'আমদানি না থাকায় আগুন দাম মাছ বাজারে৷ দেশি মাছের যা আমদানি আছে, তাতে জোগান দেওয়া যাচ্ছে না৷' একই অবস্থা পাতিপুকুর পাইকারি মাছের বাজারেও৷ পুজোর আগে যেখানে রোজ গড়ে ৫০ টন করে ওড়িশা ও অন্ধ্র থেকে মাছ আসত, সেখানে অষ্টমীর পর থেকে মাছ আসা বন্ধ৷ পাতিপুকুর ফিশ মার্কেট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রবীন্দ্রনাথ সরকার বলেন, 'ওডিশা ও অন্ধ্র থেকে আমাদের বাজারে আসে রুই, কাতলা, মৃগেল ও তেলাপিয়া মাছ৷ উত্তরপ্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশ থেকে পাবদা, তপসেও আসছে না৷'


মাছের বাজারে কালোবাজারি রুখতে কয়েক দিন আগে মাছের আড়তদারদের ডেকে পাঠিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টর৷ সেখানে আড়তদাররা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, জোগান না বাড়লে দাম কমবে না৷


দীপাবলির আগে সবজির দাম কমার কোনও সম্ভাবনা নেই বলে স্পষ্ট জানালেন শেওড়াফুলি হাটের পাইকারি বিক্রেতা প্রদীপ নন্দী৷ তিনি বলেন, 'দক্ষিণ ভারত থেকে টম্যাটো আসে৷ বৃষ্টির জেরে ট্রেন ঘুরিয়ে দেওয়ায় সময় বেশি লাগছে৷ ফলে ৩০ কেজির পেটি খুললে ৫-৭ কেজি পচা বের হচ্ছে৷ আর বৃষ্টিতে স্থানীয় আনাজ পচে গিয়েছে৷' শেওড়াফুলি বাজারে আরেক বিক্রেতা উদয়শঙ্কর ভকত জানান, 'পাইকারি বাজারে ৫ কেজি ধনেপাতার দাম এখন ৬০০ টাকা৷ ফলে, খুচরো বাজারে ১০০ গ্রামের দাম দাঁড়াচ্ছে ১৮-২০ টাকা৷'


শসা, পেঁপে, মূলোর জন্য এখন কলকাতা ও শহরতলির বড় ভরসা বর্ধমানের কাটোয়া৷ রাঁচি থেকে আসে কাঁচালঙ্কা, টম্যাটো, বাঁধাকপি৷ নাসিক থেকে পেঁয়াজ, চেন্নাই থেকে ওল, নাসিক থেকে পেঁয়াজ৷ এ ছাড়া তারকেশ্বর, বনগাঁ, পূর্ব মেদিনীপুর ও উলুবেড়িয়া থেকে আসে বরবটি, কুমড়ো, ঝিঙে, ঢেঁড়সের মতো আনাজ৷ কিন্ত্ত সব জায়গাতেই দাম আকাশছোঁয়া৷


বিভিন্ন বাজারে 'সাইজ' অনুযায়ী একটি নারকেলের দাম ২৫-৩৫ টাকা৷ আপেলের কেজি এখনও ৬০-৮০ টাকার মধ্যে রয়েছে৷ লক্ষ্মীর পুজোর মুখে কাঁঠালিকলার ডজন ৪০-৫০ টাকা৷ সিঙ্গাপুরি কলার ডজন ২৫-৩০ টাকা৷ বাতাবি লেবুর পিস ২৫ টাকা, মুসম্বি লেবুর পিস ৫-৮ টাকা৷


আগামী কয়েক দিন সবজির দাম আরও উপরের দিকে ওঠার সম্ভাবনাই প্রবল৷ মেদিনীপুর, হাওড়া, মালদহের বিভিন্ন অঞ্চল-সহ পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ডের বহু এলাকা প্লাবিত৷ অন্ধ্র ও ওড়িশার প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বেঙ্গালুরু থেকে গাজর, বিন, বিট প্রভৃতির জোগান প্রায় বন্ধ৷ ঘুরপথে পরিবহণে পচে নষ্ট হচ্ছে প্রচুর সবজি৷ তাতে জোগান আরও কমছে৷ হাওড়ার রামরাজাতলা বাজারের সবজি বিক্রেতা শম্ভু দাস বললেন, 'মেদিনীপুরে বন্যার জেরে আনাজ আসছে না৷ তা ছাড়া উদয়নারায়ণপুরে বন্যার জেরে হুগলির চাঁপাডাঙা, পুরশুড়া থেকেও আনাজ আসছে না৷ তাই দাম বাড়ছে৷'


No comments:

Post a Comment

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...

Census 2010

Welcome

Website counter

Followers

Blog Archive

Contributors