নয়াদিল্লি: ফের যাত্রীভাড়া বাড়তে চলেছে রেলে৷ ডিজেল কেনায় ভর্তুকি উঠে যাওয়ায় ৩,৩০০ কোটি টাকা খরচ বেড়ে গিয়েছে রেলের৷ তাই ভাড়া বাড়িয়ে ওই অতিরিক্ত খরচ তুলতে চায় ভারতীয় রেল৷ রেলসূত্রে জানা গিয়েছে, সবক'টি শ্রেণিতেই যাত্রীভাড়া বাড়তে পারে এবং কিলোমিটার-প্রতি বেশ কয়েক পয়সা করেই৷
যাত্রী পরিবহণের ক্ষেত্রে বর্তমানে ২৫ হাজার কোটি টাকা লোকসানে চলছে রেল৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে ২২ ডিসেম্বর ২১ শতাংশ হারে যাত্রীভাড়া বাড়ানো হয় ৬,৬০০ কোটি টাকা ক্ষতি কমাতে৷ কিন্ত্ত ডিজেলের দাম লিটারে ১০.৮০ টাকা বেড়ে যাওয়ায় রেলের খরচ বছরে ৩,৩০০ কোটি টাকা বেড়ে গিয়েছে৷
এ মাসের ২৬ তারিখেই রেল বাজেট পেশ৷ তখন ট্রেনের প্যান্ট্রি কার থেকে দেওয়া খাবারের দাম বাড়ানো হতে পারে৷ সে ক্ষেত্রে ভাড়া বাড়বে রাজধানী, শতাব্দী, দুরন্তর মতো সেই সব ট্রেনের টিকিটের যেখানে যাত্রীভাড়ার মধ্যেই খাবারের দাম ধরা থাকে৷
কয়েকদিন আগে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে ভাড়া বাড়ানোর বিষয়টি অস্বীকার করেননি রেলমন্ত্রী পবনকুমার বনশল৷ তিনি বলেন, 'আর কয়েক দিনের মধ্যেই এ ব্যাপারে (রেলে ভাড়া বৃদ্ধি) আমাদের অবস্থান নির্ধারণ করতে হবে৷ আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি৷' রেলের আর্থিক ক্ষতি এড়ানো নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন বনশল৷
বছরে ১৮ হাজার কোটি টাকা আয় বাড়ানোর জন্য গত বছর ৭ মার্চ পণ্য পরিবহণে ভাড়া ২০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছিল৷ কিন্ত্ত এবার পণ্য ভাড়া বাড়ানোর ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা করতে হচ্ছে রেলকে৷ রেলের এক আধিকারিক বলেন, 'পণ্যের ভাড়া বাড়ানো অবশ্যই একটা উপায়, তবে প্রতিযোগিতার বাজার থেকে আমরা ছিটকে যেতে চাই না৷' রেলে কম খরচে পণ্য পরিবহণ করা যায়৷ তা সত্ত্বেও মোট পণ্য পরিবণের মাত্র ৩৬ শতাংশ রেলের দখলে রয়েছে, যদিও চিন ও আমেরিকায় রেলে মোট পণ্যের ৫০ শতাংশেরও বেশি পরিবহণ করা হয়৷
ডিজেলের দাম বেড়ে যাওয়া ও বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়ণের জন্য ২০১৩-১৪ অর্থবর্ষের জন্য অর্থমন্ত্রক থেকে ৩৮ হাজার কোটি টাকা চেয়েছে রেল মন্ত্রক৷ চলতি অর্থবর্ষে ২৪ হাজার কোটি টাকা পেয়েছে রেল৷ এক রেল আধিকারিকের কথায়, 'নতুন লাইন পাতা, স্টেশনের উন্নয়ন ও মাঝপথে থাকা প্রকল্পগুলির জন্য টাকা দরকার৷ ভাড়া বাড়ানো একটি উপায়৷ পরিবহণে ভাড়া ও মাশুল বাড়ানোর পাশাপাশি আমরা অন্য উপায়গুলিও খতিয়ে দেখছি৷' এখন রেলের হাতে ৪৩ হাজার হেক্টর ফাঁকা জমি রয়েছে৷ সেই জমিগুলিকেই বাণিজ্যিক ভাবে ব্যবহারের কথা ভাবছে রেল৷ দশ বছর পরে চলতি অর্থবর্ষে একাধিক রেলমন্ত্রী ভাড়া বাড়ালেও এই জমি ব্যবহারের কথা কোনও রেলমন্ত্রীই ভাবেননি৷
যাত্রী পরিবহণের ক্ষেত্রে বর্তমানে ২৫ হাজার কোটি টাকা লোকসানে চলছে রেল৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে ২২ ডিসেম্বর ২১ শতাংশ হারে যাত্রীভাড়া বাড়ানো হয় ৬,৬০০ কোটি টাকা ক্ষতি কমাতে৷ কিন্ত্ত ডিজেলের দাম লিটারে ১০.৮০ টাকা বেড়ে যাওয়ায় রেলের খরচ বছরে ৩,৩০০ কোটি টাকা বেড়ে গিয়েছে৷
এ মাসের ২৬ তারিখেই রেল বাজেট পেশ৷ তখন ট্রেনের প্যান্ট্রি কার থেকে দেওয়া খাবারের দাম বাড়ানো হতে পারে৷ সে ক্ষেত্রে ভাড়া বাড়বে রাজধানী, শতাব্দী, দুরন্তর মতো সেই সব ট্রেনের টিকিটের যেখানে যাত্রীভাড়ার মধ্যেই খাবারের দাম ধরা থাকে৷
কয়েকদিন আগে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে ভাড়া বাড়ানোর বিষয়টি অস্বীকার করেননি রেলমন্ত্রী পবনকুমার বনশল৷ তিনি বলেন, 'আর কয়েক দিনের মধ্যেই এ ব্যাপারে (রেলে ভাড়া বৃদ্ধি) আমাদের অবস্থান নির্ধারণ করতে হবে৷ আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি৷' রেলের আর্থিক ক্ষতি এড়ানো নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন বনশল৷
বছরে ১৮ হাজার কোটি টাকা আয় বাড়ানোর জন্য গত বছর ৭ মার্চ পণ্য পরিবহণে ভাড়া ২০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছিল৷ কিন্ত্ত এবার পণ্য ভাড়া বাড়ানোর ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা করতে হচ্ছে রেলকে৷ রেলের এক আধিকারিক বলেন, 'পণ্যের ভাড়া বাড়ানো অবশ্যই একটা উপায়, তবে প্রতিযোগিতার বাজার থেকে আমরা ছিটকে যেতে চাই না৷' রেলে কম খরচে পণ্য পরিবহণ করা যায়৷ তা সত্ত্বেও মোট পণ্য পরিবণের মাত্র ৩৬ শতাংশ রেলের দখলে রয়েছে, যদিও চিন ও আমেরিকায় রেলে মোট পণ্যের ৫০ শতাংশেরও বেশি পরিবহণ করা হয়৷
ডিজেলের দাম বেড়ে যাওয়া ও বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়ণের জন্য ২০১৩-১৪ অর্থবর্ষের জন্য অর্থমন্ত্রক থেকে ৩৮ হাজার কোটি টাকা চেয়েছে রেল মন্ত্রক৷ চলতি অর্থবর্ষে ২৪ হাজার কোটি টাকা পেয়েছে রেল৷ এক রেল আধিকারিকের কথায়, 'নতুন লাইন পাতা, স্টেশনের উন্নয়ন ও মাঝপথে থাকা প্রকল্পগুলির জন্য টাকা দরকার৷ ভাড়া বাড়ানো একটি উপায়৷ পরিবহণে ভাড়া ও মাশুল বাড়ানোর পাশাপাশি আমরা অন্য উপায়গুলিও খতিয়ে দেখছি৷' এখন রেলের হাতে ৪৩ হাজার হেক্টর ফাঁকা জমি রয়েছে৷ সেই জমিগুলিকেই বাণিজ্যিক ভাবে ব্যবহারের কথা ভাবছে রেল৷ দশ বছর পরে চলতি অর্থবর্ষে একাধিক রেলমন্ত্রী ভাড়া বাড়ালেও এই জমি ব্যবহারের কথা কোনও রেলমন্ত্রীই ভাবেননি৷
No comments:
Post a Comment